বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

অর্থনৈতিক উন্নয়নে গণতন্ত্র অপরিহার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থনৈতিক উন্নয়নে গণতন্ত্র অপরিহার্য

মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে গণতন্ত্র অপরিহার্য। তিনি বলেন, একটি দেশের মানুষের স্বাধীনভাবে কথা বলা তার সাংবিধানিক অধিকার। আর এ সুযোগ থাকলে সে দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এগিয়ে যাবেই। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। যেসব দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেসব দেশের জনগণের সুযোগ-সুবিধার প্রতি সরকার গুরুত্ব দিয়ে থাকে। পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশও বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। গতকাল হোটেল সোনারগাঁওয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য ও সেবার প্রদর্শনী ২৫তম ইউএস ট্রেড শো উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাদাব আহমেদ খানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ম্যালকম বার্ক, অ্যামচেমের সাবেক সভাপতি আফতাবুল ইসলাম প্রমুখ। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্য দিন দিন বাড়ছে। গত বছর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া জ্বালানি খাতে একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে এখনো অনেক প্রতিকূলতা রয়েছে উল্লেখ করে বার্নিকাট বলেন, ব্যবসা সহজীকরণ (ডুয়িং বিজনেস), অবকাঠামো ও বন্দরে পণ্য খালাসে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসায় বিশেষ অগ্রাধিকার সুবিধা (জিএসপি) পুনর্বহালের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি একটি প্রক্রিয়াধীন ব্যাপার। এ জন্য তৈরি পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক অধিকারের কিছু শর্ত রয়েছে। এ বিষয়গুলো সুরাহার ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা। এ জন্য বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও কাজ করছে। এ জন্য যে অ্যাকশন প্ল্যান রয়েছে সে অনুসারে কাজ করতে হবে বাংলাদেশকে।

সভাপতির বক্তৃতায় সাদাব আহমেদ খান বলেন, অ্যামচেম প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বাণিজ্য নিয়মিত বাড়ছে। এ সময় দুই দেশের বাণিজ্য প্রায় সাত ধাপ এগিয়েছে। ১০০ কোটি ডলার থেকে এ বাণিজ্য ৭০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে।

সাদাব আহমেদ খান বলেন, ২৫তম ইউএস ট্রেড শো ১ মার্চ থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, এবারের ইউএস ট্রেড শোতে প্রসাধন পণ্য থেকে হেলিকপ্টার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসহ ১৫০টিরও বেশি কোম্পানির ৪৩টি প্রদর্শক (এক্সিবিউটর) এতে অংশ নিচ্ছে। বুথ থাকবে ৭৩টি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা খোলা থাকবে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোনো প্রবেশ ফি না থাকলেও সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য ৩০ টাকা প্রবেশমূল্য রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর