বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

সমালোচনামুখর গণতান্ত্রিক গণমাধ্যম চাই : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সমালোচনামুখর গণতান্ত্রিক গণমাধ্যম  চাই : তথ্যমন্ত্রী

বর্তমান সরকার গঠনমূলক সমালোচনামুখর গণতান্ত্রিক গণমাধ্যম চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্রের বিকাশের পক্ষে। তাই জঙ্গিবাদের পক্ষ নেওয়া হলুদ সাংবাদিকতাকেও আমরা সমর্থন করতে পারি না।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীর সঞ্চালনায় সাধারণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব ওমর ফারুক প্রমুখ। সরকার পোষা গণমাধ্যম চায় না মন্তব্য করে হাসানুল হক ইনু বলেন, পোষা গণমাধ্যম গণতন্ত্রের ভিতকে দুর্বল করে দেয়। অচিরেই ‘গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরি শর্তাবলি’ নামে একটি বিল আগামী জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পাঠানো হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের করা ‘সাংবাদিক-কর্মচারী অ্যাক্ট, ১৯৭৪’-এর ধারাবাহিকতা রাখা হয়েছে। এতে টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইনে কাজ করা গণমাধ্যমকর্মী ও কর্মচারীদের অধিকার, চাকরির নিশ্চয়তা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের অনেকেই আইনটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আইনটি এখনো খসড়ার পর্যায়ে আছে। সংশোধন শেষে তা আরও কয়েক মাস পর সংসদে বিল আকারে যাবে। তাই চিন্তার কিছু নেই। আপনাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো আমাকে লিখিত ও ব্যক্তিগতভাবে জানালে আমি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’ হাসানুল হক ইনু বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনভাবে, আইনগতভাবে ও সাংবিধানিকভাবে অভিমত প্রকাশ, চাকরির নিরাপত্তা, কল্যাণ তহবিল গঠন ও ওয়েজ বোর্ড নিশ্চিত করছে বর্তমান সরকার। সাংবাদিকদের জন্য একটি দিবস করার ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের জন্য ‘প্রেস দিবস’ করার বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করা হবে।

আজ নির্বাচন : এদিকে আজ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ১৯টি পদের বিপরীতে মোট চারটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। প্যানেলগুলো হচ্ছে সূর্য-তপু, জাফর-কামাল, আফ্রাদ-সোহেল ও আতাউর-কুদ্দুস। এর বাইরে সাধারণ সম্পাদক পদে আরও পাঁচজন প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর সব মিলিয়ে ১৯টি পদে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৭৯ জন। টানা ভোট গ্রহণ চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচনে মোট দুই হাজার ৮৭৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এই নির্বাচন পরিচালনার জন্য আট সদস্যের একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিনিয়র সাংবাদিক আবু তাহের। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যানার-ফেস্টুন ও প্লাকার্ডে ছেয়ে গেছে প্রেস ক্লাব চত্বর। পুরো চত্বর ঘিরে বড় বড় ব্যানার লাগিয়ে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্যানেলগুলোর প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

সর্বশেষ খবর