বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

খালেদার আইনজীবী হওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদার আইনজীবী হওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলা লড়তে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনকে অনুরোধ জানালেও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। মামলা লড়তে না পারলেও খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতি থাকবে বলে মির্জা ফখরুলকে জানিয়েছেন ড. কামাল। ধারণা করা হচ্ছে দলীয় আইনজীবীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণেই ড. কামালের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব। গতকাল বেলা ১১টার দিকে মতিঝিলের টয়োটা টাওয়ারে ড. কামাল হোসেনের ল চেম্বারে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় আইনজীবী আবদুর রেজাক খান, আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন সঙ্গে ছিলেন। এ সময় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার নথিপত্র নিয়ে যান তারা। খালেদা জিয়ার মামলার নথিও তারা নিয়ে যান। প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসেন মির্জা ফখরুলসহ আইনজীবীরা। পরে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ‘মির্জা ফখরুলসহ কয়েকজন গিয়েছিলাম স্যারের কাছে (ড. কামাল)। তিনি জানিয়েছেন, তিনি এখন ক্রিমিনাল কেস করেন না। এটা তিনি কম বোঝেন। তবে খালেদা জিয়ার প্রতি তার সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) থাকবে।’ খালেদা জিয়ার আপিল মামলায় প্যানেল আইনজীবীদের অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান বলেন, ‘এ মামলায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সিনিয়র কাউন্সিল হিসেবে নিযুক্ত আছেন। এর পরও দল চাইলে যে কোনো আইনজীবীকে নিয়োগ দিতে পারে।’ খালেদা জিয়ার আপিল দায়েরকারী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এ মামলার আইনজীবী মাত্র। তাই মামলার শুনানিতে কে বা কারা থাকবেন তা অনেকাংশে দলের নেতাদের ওপর নির্ভর করছে। এ বিষয়ে দলের মহাসচিব ভালো বলতে পারবেন।’ প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। ওই দিন থেকেই কারাগারে রয়েছেন তিনি। এরপর রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার পর আপিল আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। তবে ওই আপিল আবেদন করা নিয়ে তাদের মধ্যে চরম সমন্বয়হীনতার অভিযোগ ওঠে। এরপর খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতেও আইনজীবীদের সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যায়। আইনজীবীদের কারণেই খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

সর্বশেষ খবর