প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলা করা হয়েছে। তার অবস্থা এখন অনেকটা ভালো। কিন্তু যে হামলাটা হলো, যারা হামলা করল, এরা কারা? ধরন থেকেই স্পষ্ট। তিনি বলেন, যারা এ ঘটনাগুলো ঘটায়, তারা ধর্মান্ধ হয়ে গেছে। তারা ভাবে যে তারা বেহেশতে যাবে, কিন্তু আসলে তারা হয়তো দোজখে যাবে। কারণ, মানুষ খুন করে কেউ বেহেশতে যেতে পারে না। বিজ্ঞানী ও গবেষকদের অনুদান প্রদান উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ১১৬ জনকে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, ২ হাজার ৩৫৮ জনকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ (এনএসটি) এবং ১৪১টি প্রকল্পকে গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী টোকেন হিসেবে ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে ফেলোশিপ ও অনুদানের চেক তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো রকম সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ আমরা চলতে দেব না। মাদকের বিরুদ্ধেও আমরা অভিযান চালাচ্ছি। আমাদের শিক্ষক, অভিভাবক, মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে অন্যান্য ধর্মের প্রত্যেককে যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই সবার প্রতি আমি জঙ্গিবাদবিরোধী আহ্বান জানাচ্ছি। এ সময় সন্তানদের প্রতি বাবা-মা ও শিক্ষকদের সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে আমাদের সন্তানদের দূরে রাখতে হবে। ছেলেমেয়েরা কী করছে তা জানতে হবে। শিক্ষকদের পাশাপাশি বাবা-মাকেও সন্তানদের প্রতি আরও যত্নবান হতে হবে। একটু সহায়তা পেলেই তারা অনেক কিছু করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এত মেধাবী ছেলেমেয়ে, তারা যেন কেউ বিপথে না যায়, সেটাই আমরা চাই। কারণ, দেশকে আমাদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে। আমরা আর পিছিয়ে যাব না। সামনের দিকে এগোব। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলব।  বাংলাদেশ স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সমুদ্রের তলদেশে (নেভীর সাবমেরিন) গিয়েছি, স্যাটেলাইটও উেক্ষপণ হবে। অচিরেই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উেক্ষপণ করা হবে।  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।