বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

চলে গেলেন প্রিয়ভাষিণী

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

চলে গেলেন প্রিয়ভাষিণী

অগণিত ভক্ত ও স্বজনকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না-ফেরার দেশে চলে গেলেন মুক্তিযোদ্ধা, খ্যাতিমান ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।

ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুর ১টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। স্বামী আহসান উল্লাহ, তিন ছেলে, দুই মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ কিডনি, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে আসেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান ও গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার প্রমুখ। প্রিয়ভাষিণীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক যুগ্মমহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, কুয়েত আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. শহীদ ইসলাম পাপুল প্রমুখ। এদিকে, দুপুরে ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে বারিধারার পিংক সিটির বাড়িতে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর লাশ নেওয়া হয়। সেখানে লাশের গোসল সম্পন্নের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমাগারে রাখা হয়েছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই মুক্তিযোদ্ধা ভাস্করের লাশ রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে বাসায় পা পিছলে পড়ে যাওয়ার পর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে। এরপর সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। সবশেষে ২৩ ফেব্রুয়ারি আবারও ল্যাবএইডে তাকে ভর্তি করা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর