বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

অপশক্তি এখনো নির্মূল হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

অপশক্তি এখনো নির্মূল হয়নি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ ৭ মার্চের জনসভায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে দেশের মানুষের সহযোগিতা চাওয়া হবে। তিনি বলেন, একাত্তরের পরাজিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনো নির্মূল হয়নি। এ অশুভ শক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করছে। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী  লীগের জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী বিজয়ের মাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি যাতে বিজয়ী হয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রাখার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানাবেন। আওয়ামী লীগের জনসভায় জনগণকে কি বার্তা দেওয়া হবে বলে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বছরের ৭ মার্চের তাৎপর্য হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে দেশের তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ৭ মার্চের নতুন তাৎপর্য নিয়ে ভাষণ দেবেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের প্রতি আহ্বান জানাবেন তিনি।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে অনেক বিখ্যাত ভাষণ রয়েছে। এ ভাষণগুলো ছিল লিখিত। কিন্তু একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাষণই ছিল অলিখিত ও তাত্ক্ষণিক ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দান করছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আগে শুধু বাঙালি জাতির সম্পদ ছিল। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এ ভাষণ জাতিসংঘের ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার পর তা সারা বিশ্বের সম্পদে পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর