শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

কোটা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত মন্দের ভালো

নিজামুল হক বিপুল

কোটা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত মন্দের ভালো

আলী ইমাম মজুমদার

কোটার পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে শূন্য থাকলে মেধা তালিকা থেকে সেই পদ পূরণে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদের সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার। বলেছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। একটু হলেও হয়েছে। এটি মন্দের ভালো। কিন্তু মূল যে কোটা পদ্ধতি সংস্কার হওয়া দরকার সেটা এখনো হয়নি। এটা করার কোনো বিকল্প নেই।

সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় আলী ইমাম মজুমদার আরও বলেন, মেধা তালিকা থেকে যোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে কোটার শূন্য পদ পূরণ করার সরকারের এই সিদ্ধান্ত খুবই ইতিবাচক। তবে সরকারকে আরও কিছু কাজ করতে হবে। ৫৫ শতাংশ কোটা কমিয়ে সেটিকে অন্তত ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। তাহলে খুব ভালো হবে। যদি মেধার কোটা বাড়ানো যায় তাহলে সেটা হবে দেশ ও রাষ্ট্রের জন্য ভালো। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী বা অঞ্চলের জন্য কোটা সংরক্ষণ করা যাবে। কিন্তু আমাদের দেশে এর বাইরে কোটার পরিমাণই বেশি। তিনি মনে করেন, কোটা সংরক্ষণের বিষয়ে জনসংখ্যার অনুপাত অনুযায়ী পুরো কোটা পুনর্বিন্যাস করা হোক। সরকারের উচিত দেশের এবং রাষ্ট্রের স্বার্থে কোটা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো। মেধাবীদের প্রাধিকার দেওয়া।

তিনি বলেন, কোটা প্রথাকে ঢেলে সাজাতে গেলে সরকারের বিরুদ্ধে অনেক আলোচন-সমালোচনা হবে। সরকারকে সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি চাকরিতে কোটায় যোগ্য প্রার্থীদের অভাবে শূন্য থাকা পদ মেধা তালিকা থেকে পূরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এরপর গত ৬ মার্চ (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ওই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান স্বাক্ষরিত সরকারি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সরকারি চাকরিতে কোটায় যেসব পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে শূন্য থাকবে সেগুলো মেধা তালিকা থেকে পূরণ হবে। সরকার এই প্রজ্ঞাপন জারির পর এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন, সব সরকারি চাকরির নিয়োগে পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা না গেলে তা মেধা তালিকা থেকে পূরণের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কার হয়ে গেছে বা অন্য কোনো পশ্চাৎপদ শ্রেণিকে গুরুত্ব কম দেওয়া— এটা সেরকম কিছু নয়। তাদের জন্য পদ সংরক্ষিত আছে এবং থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর