সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

২৫ মার্চ রাতে এক মিনিট ব্ল্যাক-আউট

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২৫ মার্চ রাতে সারা দেশে এক মিনিট ‘ব্ল্যাক-আউট’ করার কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। একাত্তরের সেই কালরাতের স্মরণে অর্থাৎ গণহত্যা দিবসের রাতে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া সব জায়গায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে। গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া সব জায়গায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে। কেউ কেন্দ্রীয়ভাবে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দেবে না। নিজ নিজ উদ্যোগে বাতি নিভিয়ে এক মিনিট এই প্রতীকী কর্মসূচিতে যোগ দিতে হবে। প্রসঙ্গত, বাঙালির মুক্তির আন্দোলনকে শ্বাসরোধ করতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের সেই অভিযানে কালরাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। জাতীয় সংসদের স্বীকৃতির পর একাত্তরের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের দিনটিকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত বছরের ২০ মার্চ মন্ত্রিসভা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালনের জন্য ২৫ মার্চকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ২৫ মার্চ এক মিনিট সারা দেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখাসহ দিবস পালনে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চিঠি পাঠানো হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে। এদিকে গতকালের বৈঠকে গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত রাস্তায় কোনো তোরণ তৈরি করা যাবে না। তবে রাস্তার পাশে স্বাধীনতা দিবসের ফেস্টুন রাখা যাবে। এ ছাড়া কারাগার, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করা হবে। কূটনীতি পাড়া ও সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সারা দেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে হবে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে। গতকালের বৈঠকে আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকার পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, কারা অধিদফতরের মহাপরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর