জিপিএ-৫ পাওয়ার প্রতিযোগিতা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেছেন, আমাদের মানবিক গুণাবলী অর্জন করা প্রয়োজন, কিন্তু তা সঠিকভাবে হচ্ছে না। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ, বেগম নূর আফরোজ আলী, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, কাজী ফারুক প্রমুখ। আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত। প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষকদের ব্যাপক মূল্যায়ন করা হয়। কেননা মূল কাজটি তারাই সম্পাদন করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়েছেন। সে কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে অনেক সময় এ সমস্যায় পড়তে হয়। এ ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। এ ছাড়া দেশের শিক্ষাব্যবস্থার কিছুটা পরিবর্তনও প্রয়োজন। আমরা কোন ধরনের ছেলেমেয়ে তৈরি করছি— সে বিষয়ে আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত। তারা অবলীলায় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হবে। অন্য বক্তারা বলেন, আমরা শুনেছি গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি করা হবে। কিন্তু স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে নতুন করে গ্রেডিং করলে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশঙ্কা রয়েছে। তাই নতুন করে গ্রেডিং না করে বর্তমান সরকারের মেয়াদেই এসব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা জরুরি।
