মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত নিহত ৫০

চার ক্রুসহ আরোহী ছিলেন ৭১। যাত্রী বাংলাদেশি ৩২ নেপালি ৩৩ চীন-মালদ্বীপের ২ জন। মিলেছে ব্ল্যাকবক্স। তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত নিহত ৫০

নেপালে গতকাল ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের পর আগুন ধরে যায়। উদ্ধার তৎপরতায় নেপালের সেনাবাহিনীর সদস্যরা। লাশের সারি ছবি : এএফপি ও স্থানীয় গণমাধ্যম

ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তেই উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্র। নিহতদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি, ২১ জন নেপালি এবং চীন ও মালদ্বীপের একজন করে নাগরিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজ কুমার ছেত্রি। কিন্তু ইউএস কর্মকর্তাদের দাবি, তারা আটজন মৃতের তথ্য পেয়েছেন। উড়োজাহাজে পাইলটসহ ৭১ আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে যাত্রী ছিলেন ৬৭ জন। যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩২ জন। এ ছাড়া ৩৩ জন নেপালি, একজন করে চীন ও মালদ্বীপের নাগরিক ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৮ জন নারী ও দুজন শিশু। দুর্ঘটনায় আহত মোট ১৯ জন কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ। বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়েছে। বিমান বিধ্বস্তের পর সিঙ্গাপুর সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোনে কথা বলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী খাদগা প্রসাদ শর্মা অলির সঙ্গে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ইউএস-বাংলার প্রায় আটজনসহ আহত-নিহতদের স্বজন, সিভিল এভিয়েশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওনা হবেন। বেলা ১২টার দিকে ইউএস-বাংলার বারিধারা অফিস থেকে কাঠমান্ডুর হতাহতদের সর্বশেষ অবস্থা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইমরান আসিফ। তিনি জানান, বিমানটিতে আগুন ধরাতে যাত্রীরা দগ্ধ হয়েছেন। এ কারণে অনেককে চেনা যাচ্ছে না, তাই বেশিরভাগ হতাহতের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুর বলেন, ‘বিমানটি অবতরণের সময় তীব্র ঝাঁকুনি খেয়ে দিক বদলে পূর্ব পাশের একটি ফুটবল মাঠে আছড়ে পড়ে। এ সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।’ নেপাল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র গোকুল ভান্ডারি বলেন, ‘কাউকে জীবিত উদ্ধার করার আশা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কারণ উড়োজাহাজটি ভয়াবহভাবে পুড়ে গেছে।’ নেপালের বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক সঞ্জীব গৌতম বলেন, ‘রানওয়েতে অবতরণের সময় বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এটা দক্ষিণ দিকে নামার কথা থাকলেও উত্তর দিক দিয়ে নামে।’ তিনি বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। আমরা বিধ্বস্ত হওয়ার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’ ভয়াবহ দুর্ঘটনার এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ ও নেপালে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন গভীর শোক জানিয়েছেন। একই সঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তারা। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান নেপালের প্রধানমন্ত্রী খাদগা প্রসাদ শর্মা অলি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাম বাহাদুর থাপা। এ ছাড়া নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসাফি বিনতে শামসও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

আরোহীদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে আসেন নেপাল সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তারা পানি ছিটিয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালান। বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের একজন নেপালের একটি সংবাদপত্রকে বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমানটির জানালা দিয়ে তিনি বের হয়ে আসেন এবং তিনি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, বিমানের ভিতর তিনি প্রথমে প্রচণ্ড জোরে একটা ধাক্কা অনুভব করেন। পরে খুব জোরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। বেঁচে যাওয়া অন্য এক যাত্রী হাসপাতালে শুয়ে বলেছেন, ‘খুব স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল বিমানটি। কিন্তু কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় এটি অদ্ভুত আচরণ করতে থাকে।’ এদিকে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর এ খবর মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবস্থানরত বিভিন্ন যাত্রীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ৩৩ মিনিটের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিমানবন্দরের পাশে একটি ফুটবল খেলার মাঠে হঠাৎই আছড়ে পড়ে একটি বিমান। সঙ্গে সঙ্গে দুমড়ে-মুচড়ে বিস্ফোরিত হয়ে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এ সময় কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় গোটা ত্রিভুবন বিমানবন্দর এলাকা। বিমানবন্দরের সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সাধারণ মানুষের চিৎকারও শোনা যায়। মুহূর্তেই ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্সসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে চলে আসেন।

তারা দ্রুতই আগুন নেভাতে সক্ষম হন। তবে এর আগেই সব শেষ হয়ে যায়। বিমানের বিভিন্ন যন্ত্র খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। উদ্ধার অভিযানের সময় পাশেই বেশ কিছু যাত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিমান থেকে উদ্ধার করা লাশগুলোকে পাশেই একটি খালি জায়গায় সারিবদ্ধভাবে ঢেকে রাখতে দেখা যায়। এ ছাড়া বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অ্যাম্বুলেন্সে করে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১২টা ৫১ মিনিটে উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। নেপাল সময় বেলা ২টা ১৮ ও বাংলাদেশ সময় ২টা ৩৩ মিনিটে এটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ের পাশে একটি খেলার মাঠে ছিটকে পড়ে। এ সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই আশপাশের মানুষসহ উদ্ধারকারী দল ছুটে আসে। ইউএস-বাংলার ফার্স্ট অফিসার রিজওয়ান আহমেদ খান জানান, দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটিতে ক্যাপ্টেন ছিলেন আবিদ সুলতান। তিনি বেঁচে আছেন। বিমানে ফার্স্ট অফিসার প্রিথুলা রশীদ ছাড়াও ক্রু হিসেবে ছিলেন নাবিলা ও মো. শাফী খাজা হোসেন। বিএস২১১ নম্বর ফ্লাইটটিতে আরোহী ছিলেন ৭১ জন।

 

আহত ১৯ যাত্রী হলেন : ইমরান কবির হাসি, প্রিন্সি ধামি, সামিরা বাজনকার, কবির হোসাইন, মেহেদী হাসান, রিজওয়ানা আবদুল্লাহ, স্বর্ণা সাইয়েদা কামরুন্নাহার, শাহরিন আহমেদ, মো. শাহিন বেপারি, কিশোরি ত্রিপাঠি, হরিপ্রসাদ সুবেধী, দায়ারাম তমরকার, কিষান পান্ডে, অশিষ রঞ্জিত, বিনোধ রাজ পাদওয়াল, সানাম শাকওয়া, দিনেশ হুমাগান, বাসান্ত বহরা, মো. রেজওয়ানুল হক। ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে এবং তারা কেএমসি, ওম, লরনিক ও ডেন্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানানো হয়। রাত ১০টায় সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে ইউএস-বাংলার সিইও ইমরান আসিফ সাংবাদিকদের জানান, বিমানটির কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাকবক্সে শেষ দুই মিনিটে বিমানের পাইলট ও সেখানকার বিমানবন্দরের টাওয়ারের এডিসিতে যে কথোপকথন হয় তাতে মিসগাইড করা হয়। নেপালি কর্তৃপক্ষ যদি দায়ভার এড়াতে চান তাহলে তদন্তে এবং ব্ল্যাকবক্সের রেকর্ড থেকেই বেরিয়ে আসবে মূল রহস্য। কাল (আজ) কাঠমান্ডুতে যাব। ইতিমধ্যে লুত্ফর নামে আমাদের একজন প্রতিনিধি পৌঁছে গেছেন। কাঠমান্ডু থেকে হতাহতদের ঢাকায় আনার সমস্ত ব্যয়ভার ইউএস-বাংলার পক্ষ থেকে বহন করা হবে।

ভুল দিক দিয়ে নামছিল বিমানটি : বিমানটি ভুল দিক দিয়ে বিমানবন্দরে নামার চেষ্টা করছিল বলে কাঠমান্ডু পোস্টকে জানান নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সঞ্জীব গৌতম। তিনি বলেন, বিমানটি যখন রানওয়েতে নামার চেষ্টা করছিল, তখন তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। রানওয়ের দক্ষিণ দিক দিয়ে বিমানটিকে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু বিমানটি নামছিল রানওয়ের উত্তর দিক থেকে। তিনি বলেন, ‘এই অস্বাভাবিক অবতরণের কারণ কী তা আমরা এখনো জানি না।’ সঞ্জীব গৌতম জানান, ধারণা করা হচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এদিকে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছিল বিমানটিকে।

১৬ নেপালি এসেছিলেন বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ নিতে : দুর্ঘটনার শিকার উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে নেপালের ১৬ জন নাগরিক বাংলাদেশে এসেছিলেন প্রশিক্ষণ নিতে। প্রশিক্ষণ শেষে তারা নিজ দেশে ফিরছিলেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসে। তাদের মধ্যে অনেকেই নিহত হয়েছেন। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন বসন্ত বাহোরা নামে একজন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জানালার পাশেই ছিল আমার আসন। কাচ ভেঙে আমি বেরিয়ে আসি।’

উড়োজাহাজে থাকা ওই যাত্রীর বরাত দিয়ে কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ১৬ জন নেপালি। বহোরা নামে ওই যাত্রী জানান, তিনিসহ ১৬ জন নেপালের বিভিন্ন ট্রাভেল সংস্থার হয়ে বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন। তিনি জানান, ঢাকা থেকে উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের সময় স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় এটি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে উড়োজাহাজটি ঝাঁকুনি খেতে থাকে এবং এর পরপরই বিকট শব্দ হয়। ওই যাত্রী এখন স্থানীয় থাপাথালিভিত্তিক নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘উড়োজাহাজটি থেকে বেরিয়ে আসার পর আমি আর কিছু মনে করতে পারি না। কেউ একজন আমাকে সিনামঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখান থেকে আমার বন্ধুরা নরভিক হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’ তার মাথায় ও পায়ে আঘাত লেগেছে। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কোনো উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে ১৯৮৪ সালে। ওই বছর ৫ আগস্ট বাংলাদেশ বিমানের একটি ফকার এফ-২৭ বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে ঢাকা বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হলে ৪৯ জন নিহত হন।

আরও যারা শোক জানালেন : কাঠমান্ডুতে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সমাজ কল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বাংলাদেশের বাম ফ্রন্টের চেয়ারম্যান কমরেড ডা. এম এ সামাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর