বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

অনুমতি মেলেনি স্থগিত বিএনপির জনসভা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পূর্ব ঘোষিত আজকের জনসভা স্থগিত করেছে বিএনপি। তিন দফা পিছিয়েও পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় গতকাল বিকালে শেষ মুহূর্তে জনসভা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে দলটি। গতকাল বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ কথা বলেন। জনসভা স্থগিতের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘বিকাল পর্যন্ত জনসভার অনুমতি মেলেনি। সরকার নিরাপত্তার অজুহাত দেখাচ্ছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার কথা বলছে। এগুলো ঠুনকো অজুহাত। এই স্বল্প সময়ে মঞ্চ তৈরি করাসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে জনসভা আপাতত স্থগিত করা হলো।’ রিজভী আহমেদ বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্রের ওপর বুলডোজার চালাচ্ছে। এখন শুধু বিপন্ন গণতন্ত্রের দীর্ঘশ্বাসই পাওয়া যায়।’ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে তিনি দলীয় প্রধানের মুক্তি দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— ১ এপ্রিল সারা দেশে লিফলেট বিতরণ, ৩ এপ্রিল প্রতিবাদ সভা, ৪ এপ্রিল রাজশাহী, ৭ এপ্রিল রবিশাল এবং ১০ এপ্রিল সিলেটে জনসভার আয়োজন করা হবে। রিজভী আহমেদ বলেন, বিএনপির মতো এত বড় রাজনৈতিক দলকে শান্তিপূর্ণ জনসভার অনুমতি না দেওয়া সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বৈরাচারের যে স্বীকৃতি পেয়েছে, সেটি এখন অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণিত হলো। তিনি বলেন, ২৪ মার্চ সরকারপ্রধানের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পার্টিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হলো। এ ছাড়াও সম্প্রতি আওয়ামী জোটের ছোট ছোট আরও অনেক দলকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রিজভী আহমেদ বলেন, কোথাও কিছু হচ্ছে, তা না হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এত বছর পর কেন হঠাৎ করে ১/১১-র সরকারের কথা আলোচনা করছেন? আসলে সরকার এখন ‘মাইনাস ওয়ান’ ফর্মুলা বাস্তবায়নে মরিয়া। হঠাৎ করে তাঁর এ বক্তব্যে মনে হচ্ছে, কোথাও কিছু হচ্ছে। না হলে এত বছর পর নতুন করে কেন তিনি তাদের কথা তুলবেন?

বিএনপি নেতা হাজী লিটন জামিনে মুক্ত : জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কর্মজীবী দলের সভাপতি হাজী মো. লিটন। গতকাল দুপুরে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন। এ সময় নেতা-কর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। হাজী লিটন ৩১ জানুয়ারি হাই কোর্ট এলাকায় বিএনপির মিছিল থেকে গ্রেফতার হন।

সর্বশেষ খবর