শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

মডেল মসজিদের ভিত্তি স্থাপন ৯ জেলায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

মডেল মসজিদের ভিত্তি স্থাপন ৯ জেলায়

প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের প্রথম পর্যায়ে নয়টি জেলার নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এই ধর্মীয় স্থাপনার নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন তিনি। যে নয়টি জেলায় এসব স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে, সেখান থেকে স্থানীয়রাও ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগ দেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, চট্টগ্রাম, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, বগুড়া ও খুলনায় প্রাথমিকভাবে মসজিদগুলো নির্মাণ হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে আরও ১০০টি জেলা-উপজেলায় এবং ২০১৮ সালের মধ্যে বাকি ৪৯১টি মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। ২০২০ সালের মধ্যেই এগুলোর কাজ শেষ হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশন, ৬৪টি জেলা এবং ৪৯১ উপজেলা সদরে মসজিদগুলো হবে। এর মধ্যে উপকূলীয় ১৬টি উপজেলায় মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নকশা হবে ভিন্ন। জলোচ্ছ্বাসের পানি যেন সমস্যা না হয়, সে জন্য সেখানে নিচ তলা থাকবে ফাঁকা। পাঁচ সিটি করপোরেশন এবং জেলা সদরগুলোতে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো হবে চার তলার। এতে একসঙ্গে এক হাজার ২৫০ জন নামাজ পড়তে পারবেন। একেকটির নির্মাণ ব্যয় হবে ১৫ কোটি টাকা। ৪৭৫ উপজেলায় বি টাইপের স্থাপনাগুলো হবে তিন তলা। সেখানে এক সঙ্গে ৯০০ জনের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকবে। এগুলোর একেকটির নির্মাণ ব্যয় হবে ১৩ কোটি টাকা। উপকূলীয় ১৬ জেলায় চার তলার স্থাপনাগুলোতেও একসঙ্গে ৯০০ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। এগুলোরও একেকটির নির্মাণ ব্যয় ১৩ কোটি টাকার মতো। 

অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিসুর রহমান প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ প্রান্ত থেকে এবং বাংলাদেশ ইমাম সমিতির সভাপতি কাজী শাকের আহমেদ চট্টগ্রাম প্রান্ত থেতে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তৃতা করেন। ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামকে শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে বলেন, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা মানুষের কাছে তুলে ধরতেই তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। এই শান্তি যেন বজায় থাকে সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। 

২০৪১ এর পরেও থাকুন : ময়মনসিংহ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত তো বটেই, এরপরেও তিনি যেন ক্ষমতায় থাকতে পারেন, সেই কামনা করেন। স্থানীয় উন্নয়নে নানা দাবি তুলে ধরে রওশন বলেন, আমি এসব বলছি, কারণ, আপনি পারবেন না, এমন কোনো কাজ তো নেই। আমরা দোয়া করছি আপনি শুধু ৪১ সাল পর্যন্ত না, আপনি শতায়ু হোন।

রওশন বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে আপনি (শেখ হাসিনা) বেঁচে থাকবেন এবং জনগণের জন্য কাজ করবেন এবং এটাই আমরা চাচ্ছি। ময়মনসিংহ পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করায় ধন্যবাদ জানিয়ে এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির দাবিও জানান রওশন। বলেন, ‘গেজেটটা দ্রুত চাই, যাতে করে আমরা নির্বাচনটা করতে পারি। আরেকটা কথা হলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে যখন চাব, তখন তো সবই চাব। একটা একটা চাব নাকি? নদী খননটা চাই। রওশন যখন আরও কিছু উন্নয়নের দাবি জানাচ্ছেন, তখন প্রধানমন্ত্রী তাকে থামিয়ে দেন। বলেন, মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা, আপনি এগুলো পার্লামেন্টে বলেন, আজকে আমরা মসজিদে থাকি। তবে রওশন তার কথা চালিয়ে গিয়ে বলেন, না না তারপরও।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর