অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন ভারতের কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি এক জনসভায় যোগ দিতে বৃহস্পতিবার রাজধানী দিল্লি থেকে কর্নাটক যাচ্ছিলেন। দলের আরও চার নেতা তার সঙ্গে ছিলেন। মাঝ আকাশে তাদের উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। তৃতীয় বারের চেষ্টায় পাইলট উড়োজাহাজটি কর্নাটকের হুবলি বিমানবন্দরে অবতরণ করতে সক্ষম হন বলে জানান কংগ্রেস নেতা কৌশল বিদ্যার্থী। বিমানে তিনিও রাহুলের সঙ্গে ছিলেন। খবর বিডিনিউজের। তিনি এ বিষয়ে তদন্তের দাবি করে সিভিল এভিয়েশন রেগুলেটরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। কৌশল বলেন, হঠাৎ করেই উড়োজাহাজটি ‘সন্দেহজনক এবং উল্টাপাল্টা আচরণ করতে থাকে’। তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, এটা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে করেনি তো? এই প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া চলে না। উত্তর দিতেই হবে। এজন্য তদন্ত প্রয়োজন।’ স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২০ মিনিটে রাহুলকে বহনকারী চার্টার্ড বিমানটি দিল্লি থেকে উড্ডয়ন করে। বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিমানটি হঠাৎ করেই একদিকে কাত হয়ে যায় বলে জানান কৌশল। ‘সেটি ভয়ঙ্কর রকমভাবে কাঁপতে কাঁপতে নিচের দিকে নামতে শুরু করে। যদিও বাইরের আকাশ একদম পরিষ্কার ছিল। উড়োজাহাজটির একদিক থেকে ক্রমাগত ঠং ঠং আওয়াজ আসছিল। ৪০ মিনিটের অগ্নিপরীক্ষার পর পাইলট বিমানবন্দরে অবতরণ করতে সক্ষম হন।’ পুরো সময়ে যাত্রীরা আতঙ্কিত ছিল এবং প্রাণ হারানোর ভয়ে ভীত হয়ে পড়লেও রাহুল মাথা ঠাণ্ডা রেখে শান্ত ছিলেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তিনি পাইলটদের পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করেছেন।’ এ ঘটনার পর সিভিল এভিয়েশন রেগুলেটরের পক্ষ থেকে কারণ ব্যাখ্যায় বলা হয়, উড়োজাহাজটি ‘অটোপাইলট মোডে’ থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।