শুক্রবার, ৪ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপির অভিযোগের সঠিক তথ্য পাইনি : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুর-খুলনা সিটিতে নির্বাচনের কাজে বাধার বিষয়ে বিএনপির অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। সেই সঙ্গে সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনার পুলিশ কমিশনার ও গাজীপুরের পুলিশ সুপার পক্ষপাতিত্ব করছেন কিনা তা নিয়মিত ‘অবজারব’ করা হবে বলেও জানান তিনি। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান সিইসি। বিকাল ৩টার পরে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপি প্রতিনিধি দল। দুই ঘণ্টার বেশি সময় বৈঠক চলে। সিটি নির্বাচনে তাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করছে বিএনপি? এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে কী তথ্য আছে প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘এটা সঠিক পাইনি। তাদের (বিএনপির) নির্বাচনী কাজে বাধা দিচ্ছে বা দিয়েছে এমন নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য আমরা পাইনি।’  বৈঠকের বিষয়ে সিইসি জানান, বিএনপির সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে, তাদের দুটো ইস্যু মেইন। বিএনপির ভাষায় দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং খুলনার পুলিশ কমিশনার ও গাজীপুরের এসপি— দুই কর্মকর্তাকে বদলি করলে ভালো হয় বলেছে। নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আলাদা বসে মতামত নিতে হবে। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা অল্প সময়ে যুক্তিসঙ্গত হলে করব। আর সব কমিশনার যদি বলেন বদলি করার দরকার নেই; তাহলে করব না। তবে কর্মকর্তাদের নজরে রাখা হবে বলে জানান তিনি।

সিইসি বলেন, আরও দেখি। খোঁজ নিয়ে দেখি, অবজারব করব। অভিযোগ সত্য কিনা।

খুলনায় হোটেল ঘেরাও করে রাখার বিষয়ে সিইসি বলেন, ওই হোটেলে কিছু বিদেশি ছিল, নির্বাচনের সময় তাদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে পুলিশ ছিল। ঘটনা চক্রে বিএনপি নেতৃবৃন্দও সেই হোটেলে ছিলেন রাতে। পুলিশ মূলত বিদেশিদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে ছিল।

সিইসি বলেন, অতিরিক্ত ক্যাম্প অফিস স্থাপনের কথা বলেছেন তারা। মেয়র প্রার্থী একটি ওয়ার্ডে মাত্র একটি ক্যাম্প স্থাপন করতে পারেন। তাদের মতে, কোথাও কোথাও একাধিক ক্যাম্পও রয়েছে। আমরাই এ বিষয়টি দেখব বলেছিল, এ জন্য চিঠিও দেওয়া হয়েছে, এরকম কিছু হয়ে থাকলে আমাদের জানাবে। উল্লেখ্য, পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার ও গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহারের দাবি জানায় দলটি।

সর্বশেষ খবর