শুক্রবার, ৪ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাঙামাটিতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় চেয়ারম্যানের সহকারী রূপন চাকমাও গুরুতর আহত হন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর উপজেলা চেয়ারম্যানের নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির একাংশ এমএন লারমা গ্রুপ অর্থাৎ সংস্কারপন্থির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা প্রতিপক্ষ ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) কে দায়ী করেন।

জানা যায়, নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চত্বরের বাসভবন থেকে মোটরসাইকেলে করে পরিষদ কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী রূপন চাকমা। কিন্তু কার্যালয়ের প্রায় ২০০ গজ দূরে দুই সশস্ত্র সন্ত্রাসী চেয়ারম্যানকে এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ার করলে তিনি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। একজন অস্ত্রধারী এগিয়ে গিয়ে কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় চেয়ারম্যানের সহকারী রূপন চাকমাও গুলিতে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যানের মরদেহ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়। এদিকে এ ঘটনার পর এলাকায় সহিংসতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা গ্রুপের (সংস্কারপন্থি) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, এটা একটা পরিকল্পিত ঘটনা। ইউপিডিএফের সশস্ত্র গ্রুপের নেতা অর্পণ চাকমার নেতৃত্বে উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর এ সশস্ত্র হামলা হয়েছে। রাঙামাটির নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল লতিফ জানান, দুর্বৃত্তরা চেয়ারম্যানকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চেয়ারম্যানের মৃত্যু হয়। তবে কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দল জনসংহতি সমিতি থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিদ্রোহীরা জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) নামে (সংস্কারপন্থি) নতুন দল গঠন করেছিলেন। এ সংগঠনটির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা ছিলেন শক্তিমান চাকমা।

সর্বশেষ খবর