শুক্রবার, ৪ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

ফের কালিহাতীতে লতিফ সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত এক চেয়ারম্যানের সংবর্ধনায় অতিথি হয়ে আসছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। আগামীকাল কালিহাতীর বাংড়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাসমত আলীর সংবর্ধনা। হাসমত আলী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত  ইউপি নির্বাচনের আগে হাসমত আলীকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিনকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাকে আগামীকাল সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে এলাকাবাসীর উদ্যোগে। এতে প্রধান অতিথি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে। বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী বি.কম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু নাছের, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মোল্লা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মজিদ তোতা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম, এলেঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নুর-এ-আলম সিদ্দিকী প্রমুখ। তার সংবর্ধনায় আওয়ামী লীগ নেতাদের অতিথি হওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছেন না দলীয় অনেক নেতা-কর্মী। তাদের বক্তব্য দল থেকে বহিষ্কৃত ব্যক্তি যেখানে প্রধান অতিথি, যে ব্যক্তি দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন তার সংবর্ধনায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে প্রকারন্তরে দলের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিচ্ছেন। তাদের এ অবস্থান দলের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে। কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্তমান সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা আগামীতে লতিফ সিদ্দিকীকেই সামনে নিয়ে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করছেন। এর অংশ হিসেবেই এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ নেতা-কর্মীরা। এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার জানান, এটি দলীয় কোনো কর্মসূচি নয়, একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। আর লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হলেও তিনি প্রবীণ রাজনীতিক এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তাই তিনি প্রধান অতিথি থাকলেও সে অনুষ্ঠানে আমরা থাকতে আপত্তি করিনি। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক জানান, বহিষ্কৃত নেতার সঙ্গে দলীয় নেতাদের অতিথি হওয়া ঠিক হয়নি।

সর্বশেষ খবর