শনিবার, ১২ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
গাজীপুর সিটি নির্বাচন

আবারও সরব, নতুন তারিখ ঘোষণা কাল

খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর ফের নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ঝিমিয়ে পড়া দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের চাঙ্গা করতে ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণার তারিখ জানতে অধীর আগ্রহে প্রার্থীসহ তাদের কর্মী-সমর্থকরা। কাল রবিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নতুন নির্বাচনী তারিখ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ঘোষণার দিকেই সবার নজর। এদিকে নির্বাচনের স্থগিতাদেশের বাধা দূর হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা আবারও নির্বাচনী মাঠে নামতে শুরু করেছেন। নির্বাচনের তারিখ নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষণা করা না হলেও প্রার্থীরা বসে নেই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে। গতকাল প্রার্থীরা ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন। প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। এ সময় তারা মুসল্লিদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন এবং ভোট ও দোয়া চেয়েছেন। গাজীপুর সিটি নির্বাচন ৬ মে আদালতে স্থগিতাদেশ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে নগরীর সর্বত্র নিস্তব্ধতা চলে আসে। প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকসহ স্থানীয়রা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ২৮ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার আদেশ দেওয়া হয়। আদালতের এ আদেশ জানতে পেরে ভোটারদের মাঝে উত্ফুল্ল ভাব দেখা দেয়। চার দিনের নিস্তব্ধতা কাটিয়ে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে গাজীপুর সিটির নির্বাচনী পরিবেশ। মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীসহ তাদের কর্মী-সমর্থক ও নগরবাসীর মধ্যে উদ্দীপনা ফিরে আসে।  আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম গতকাল তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের বাড়ির পাশে টঙ্গী সরকারি কলেজ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যান। অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার জুমার নামাজ আদায় করেন টঙ্গীর বড়দেওড়ার মৃত্তিবাড়ি রোডে তার প্রতিষ্ঠিত আহসানউল্লাহ সরকার মাদ্রাসা কমপ্লেক্স মসজিদে।  আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছয়দানা এলাকার বাসভবনে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা গতকাল সকাল থেকে এসে ভিড় জমাতে শুরু করেন। তিনি নতুন উদ্যমে নৌকার বিজয়কে সুনিশ্চিত করতে নেতা-কর্মীদের আবেদন জানান। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে যাতে সিটি নির্বাচন আর কেউ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান নেতা-কর্মীদের প্রতি। জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেন, ‘আলোচনা করে আদালত ঘোষিত তারিখের মধ্যেই একটি সুন্দর তারিখ দিলে অর্থাৎ আগামী ২৫-২৬ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়।

এদিকে গতকাল সকালে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের টঙ্গীর বাসভবনে আসা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর সঙ্গে ২৮ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আদালতে আইনি লড়াইয়ের প্রথম ধাপে তিনি বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি ধানের শীষ প্রতীকে  বিজয়ী হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার আগামী ২৬ অথবা ২৭ তারিখ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। তিনি গতকাল জুমার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি জানান। এর আগে তিনি জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন। এ সময় তার সঙ্গে গাজীপুর মহানগর লেবার পার্টির সভাপতি আহসান হাবীব ইমরোজ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহ আল-মামুন, টঙ্গী সচেতন নাগরিক পরিষদের সভাপতি শাহাব উদ্দিন সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ ২০-দলীয় জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর