শনিবার, ১২ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

কালবৈশাখীতে গেল আরও আট প্রাণ

প্রতিদিন ডেস্ক

কালবৈশাখীতে গেল আরও আট প্রাণ

কালবৈশাখী ঝড়ে নীলফামারীতে বিধ্বস্ত বাড়িঘর —বাংলাদেশ প্রতিদিন

কালবৈশাখী ঝড়ে নীলফামারীর ডোমার ও জলঢাকায় গাছচাপা পড়ে ও ঘর ভেঙে মা-মেয়েসহ সাতজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া নেত্রকোনার সদর উপজেলায় আবদুল মালেক নামের পঞ্চাশোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ গাছের নিচে পড়ে নিহত হয়েছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

নীলফামারী : ২০ মিনিট স্থায়ী কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে নীলফামারীর ডোমার ও জলঢাকা উপজেলায় গাছচাপা পড়ে ও ঘর ভেঙে মা-মেয়েসহ সাতজন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের খচিমাথা গ্রামের আলম হোসেনের স্ত্রী সুমাইয়া বেগম (৩০) ও তার তিন মাসের কন্যাসন্তান, মীরগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব শিমুলবাড়ি মমিনূর  রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান (২২)। ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের বোতলগঞ্জ গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আবদার আলী (৫০), ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের খানকাশরীফ গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে

জামিউল ইসলাম (১২), শাঁখারীপাড়া গ্রামের শুকারু মামুদের স্ত্রী খদেজা বেগম (৫৫), গোমনাতি ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজার গ্রামের ধৌলু মামুদের ছেলে আবদুল গণি (৪০)। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকের ওই ঝড়ে অন্তত ৫০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ সময় অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ও  গাছপালা উপড়ে পড়ে। ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামের কৃষক ফারাজ উদ্দিন জানান, কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আমার ২০ বিঘা জমির বোরো ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম আযাদ জানান, নীলফামারীর তিন উপজেলা জলঢাকা, ডোমার ও ডিমলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধান, পাট, ভুট্টা ও বাদামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, ডোমার, জলঢাকা ও ডিমলা উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা প্রণয়ন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।

নেত্রকোনা : নেত্রকোনা শহরে গতকাল সকালে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে নেত্রকোনা জেলা শহরসহ কয়েকটি উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে এ কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ের কবলে অসংখ্য গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ও প্রায় তিন শতাধিক কাঁচা বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড ও বিধ্বস্ত হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাপক ফসলি জমি। ঝড়ের সময় ছোটাছুটি করে ঘরের টিন এবং গাছের নিচে পড়ে প্রায় দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। এ সময় জেলার সদর উপজেলার আমতলা গ্রামের আবদুল মালেক নামের পঞ্চাশোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ গাছর নিচে পড়ে মারা যান। নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম দুর্যোগপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ময়মনসিংহ থেকে সরাসরি পিডিবি এবং পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। শহরের প্রায় ৪০টির মতো খুঁটি দুমড়ে-মুচরে ভেঙে গেছে।

 আশা করি দুই-তিন দিনের মধ্যে সংযোগ দেওয়া যাবে।

সর্বশেষ খবর