শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত বন্দুকযুদ্ধে নিহত আরও ১১

ইয়াবাসহ বদির বেয়াইয়ের গুলিবিদ্ধ লাশ

প্রতিদিন ডেস্ক

দেশব্যাপী মাদকবিরোধী চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে এক রাতের কথিত বন্দুকযুদ্ধে আরও অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে বহুল আলোচিত এমপি বদির বেয়াই আকতার কামালও (৪১) রয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধের এসব ঘটনা ঘটে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের মধ্যে রয়েছেন নেত্রকোনায় দুই, সাতক্ষীরায় এক, ময়মনসিংহে এক, ঝিনাইদহে এক, কুমিল্লায় এক, গাইবান্ধায় এক, রাজধানী ঢাকায় এক, কক্সবাজারে দুই ও শেরপুরে একজন। পুলিশ জানিয়েছে, যারা নিহত হয়েছেন তারা সবাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রায় সবাই এ-সংক্রান্ত মামলার আসামি। এসব ‘বন্দুকযুদ্ধের’ বিবরণও প্রায় একই রকম। মাদক ব্যবসায়ী দুই গ্রুপে গোলাগুলির ঘটনায় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় মাদক চক্রের সদস্যদের ওপর পাল্টা গুলিবর্ষণে তারা নিহত হন। এর আগের রাতেও এভাবে ১০ জন নিহত হয়েছেন। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

কক্সবাজার : পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, কক্সবাজারের রামুতে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বেয়াই আকতার কামাল নিহত হয়েছেন। কামাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে।

গতকাল ভোরে উপজেলার খুনিয়াপালংয়ের দুই নম্বর ব্রিজ এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। নিহত কামাল এমপি বদির বড়বোন শামসুন্নাহারের দেবর ও টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী সিকদার জানান, ভোরে ইয়াবার লেনদেনকে কেন্দ্র করে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কামালের লাশ পায়। ঘটনাস্থল থেকে তিন হাজার পিস ইয়াবা, দেশে তৈরি এলজি ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপকুমার দাস জানান, উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পাহাড়তলী থেকে মোস্তাক আহমদ নামে ৩২ বছর বয়সী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মোস্তাক ওই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের চোরাকারবারে জড়িত অভিযোগে মহেশখালী থানায় মামলা রয়েছে। ওসি বলেন, গভীর রাতে পাহাড়তলী এলাকায় দুই দল মাদক বিক্রেতার মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় মাদক বিক্রেতারা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে মাদক বিক্রেতারা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোস্তাকের লাশ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে এক হাজার পিস ইয়াবা, চারটি বন্দুক ও সাত রাউন্ড গুলি, ৩০টি গুলির খোসা পাওয়া গেছে।

ময়মনসিংহ : নগরের পুরোহিতপাড়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাজন মিয়া (৩৪) নিহত হয়েছেন। তিনি ওই এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদকসহ নয়টি মামলা রয়েছে। নিহত রাজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। ডিবি পুলিশের এসআই পরিমল দাস জানান, রাত পৌনে ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরোহিতপাড়ার রেলওয়ে কলোনির রেণু বেগমের পুকুরপাড়ে মাদক ব্যবসায়ী আলাল মাদক ভাগাভাগি করছেন— এমন সংবাদে ডিবি পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ রাজন মিয়াকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, তিনটি গুলির খোসা ও একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওসি ডিবি আশিকুর রহমান ও কনস্টেবল কাউছার আহত হন।

গাইবান্ধা : পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জুয়েল মিয়া (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাইবান্ধা সদরের ফলিয়া ব্রিজ ও ফুলছড়ির মদনেরপাড়ার মধ্যবর্তী (দুই থানার সীমান্তবর্তী) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি পাইপগান, দুই রাউন্ড গুলি ও পাঁচ শতাধিক পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। নিহত জুয়েল গাইবান্ধা শহরের ব্রিজ রোড মিস্ত্রিপাড়ার নছিম উদ্দিন ওরফে নছিম ড্রাইভারের ছেলে। সদর থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, গাইবান্ধা-বালাসী সড়কের ফলিয়া ব্রিজের কাছে কতিপয় ব্যক্তি সমবেত হওয়ার সংবাদ পেয়ে গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি থানা পুলিশ দুই পাশ থেকে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। এতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক অজ্ঞাত ব্যক্তি মারা গেছেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, সকালে তার পরিচয় জানা যায়। নিহত ব্যক্তি শহরের মাদক ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় মাদক সরবরাহ ও বিক্রি করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে ডজনখানেক মাদক মামলা রয়েছে।

সাতক্ষীরা : কলারোয়ায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে ইউনুস আলী দালাল নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ওয়ান শুটার গান, দুই রাউন্ড গুলি ও ৭০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় রামকৃষ্ণপুর-বড়ালি গ্রামে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইউনুস আলী দালাল উপজেলার দক্ষিণ ভাদিয়ালি গ্রামের আবদুুল্লাহ দালালের ছেলে। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লবকুমার নাথ জানান, রামকৃষ্ণপুর-বড়ালি সীমান্তে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছুড়তে হয়। তখন দুই পক্ষই বিলের মধ্য দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বিলের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইউনুসকে পাওয়া যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ওয়ান শুটার গান, দুই রাউন্ড গুলি ও ৭০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করে। নিহত ইউনুস আলী দালাল শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও বিচারাধীন একাধিক মাদক মামলার আসামি ছিলেন।

কুমিল্লা : পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কামাল হোসেন প্রকাশ ওরফে ফেনসি কামাল (৫১) নিহত হয়েছেন। রাত সোয়া ১২টার দিকে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের মহিষমারায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কামাল হোসেন জেলার আদর্শ সদর উপজেলার রাজমঙ্গলপুর গ্রামের হিরণ মিয়ার ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি ও থানা পুলিশের দুটি টিম জেলার বুড়িচং উপজেলার মহিষমারায় অবস্থান নেয়। তখন মাদক ব্যবসায়ী ফেনসি কামাল ও তার সহযোগীরা ওই এলাকা দিয়ে মাদক পাচারকালে পুলিশ তাদের আটকের চেষ্টা করে। তখন মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা ৩৪ রাউন্ড গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গুলিবিনিময়ের সময় ফেনসি কামাল গুলিবিদ্ধ হন। অভিযানের সময় ডিবির এসআই নন্দনচন্দ্র সরকার, এএসআই সাহাবুল হোসেন ও কনস্টেবল সুমন মিয়াও আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে হানিফ ও ইলিয়াস নামের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। হানিফ (৪২) আদর্শ সদর উপজেলার ছাওয়ালপুর গ্রামের মফিজ মিয়ার ও ইলিয়াস (২৮) চান্দিনা উপজেলার কোরপাই গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে। বুড়িচং থানার ওসি মনোজকুমার দে জানান, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক রাউন্ড কার্তুজসহ একটি পাইপগান ও ৫০ কেজি গাঁজা। নিহত ফেনসি কামালের বিরুদ্ধে বুড়িচং ও কোতোয়ালি মডেল থানায় ১২টির অধিক মাদকের মামলা রয়েছে।

শেরপুর : পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র সেতুর কাছে সাতপাকিয়া এলাকায় ভোররাত ৩টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আজাদ ওরফে কালু (২৮) ডাকাত নিহত হয়েছেন। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও শেরপুর সদর উপজেলার মরাকান্দি খাসপাড়া গ্রামের মুন্তাজ আলীর ছেলে। এ সময় শেরপুর সদর থানার এক এসআইসহ তিন পুলিশ আহত হয়েছেন। এদিকে নিহত হওয়ার খবর পেয়ে কালুর স্ত্রী শিউলি ও তার বোন চরপক্ষীমারী ইউপি সদস্য মমতাজ বেগমসহ স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশ আগের দিন সকালে কালুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তার কোনো হদিস মিলছিল না। ভোরে তারা খবর জানতে পারেন কালুকে পুলিশ ব্রহ্মপুত্র সেতুর কাছে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। কাল দুই কন্যাসন্তানের জনক।

ঝিনাইদহ : কালীগঞ্জ পৌর এলাকার আড়পাড়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শামীম সরদার (৪৫) নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি একজন মাদক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ৫০০ পিস ইয়াবা ও ১৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শামীম আড়পাড়ার মমিন সরদারের ছেলে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, রাতে মাদক উদ্ধারে আড়পাড়ায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি ছোড়েন। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। পরে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ শামীম সরদারকে উদ্ধার করা হয়। শামীমের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় নয়টি মাদক মামলা রয়েছে।

নেত্রকোনা : গভীর রাতে নেত্রকোনায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের মনাং ইটখোলার পাশের বাগানে মাদক বেচাকেনার সময় পুলিশ রাত ২টার দিকে সেখানে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তখন দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত ও তিন পুলিশ আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পাইপগান, ৭০৫ গ্রাম হেরোইন, ৩ হাজার ৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী জানান, নিহত দুজনই মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বয়স ৩০-৩২ বছর। নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তাদের পকেট থেকে উদ্ধারকৃত কাগজপত্র দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের বাড়ি কক্সবাজারে। নিহতদের ছবি কক্সবাজার জেলা পুলিশকে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা : তেজগাঁওয়ে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ও অস্ত্র মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিজি প্রেস স্কুলমাঠের গলিতে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। র‌্যাব জানায়, নিহত কামরুল ইসলামের বয়স অনুমানিক ৩৫ বছর। তিনি তেজগাঁও রেললাইন বস্তি ও মহাখালী সাততলা বস্তি এলাকায় মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং তার বিরুদ্ধে ১৫টির বেশি মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। এসআই মিজান বলেন, একদল মাদক চোরাকারবারি বিজি প্রেস এলাকায় অবস্থান করছেন খবর পেয়ে র‌্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযানে যান। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। র‌্যাবও পাল্টা গুলি করলে একজন আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ‘বিপুল পরিমাণ’ ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে এই পুলিশ সদস্য বলেন, ওই অভিযানে র‌্যাবের দুই সদস্যও আহত হয়েছেন।

বগুড়া : বগুড়া পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, রাত ১টার দিকে শহরের বাইপাসের ইজতেমা ময়দানের দক্ষিণ দিকে একদল মাদক ব্যবসায়ী জমায়েত হচ্ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে শহরের নিশিন্দারার আবদুর রহমানের ছেলে নয়ন (৩২) নামে এক সন্ত্রাসী আহত হন। তার কাছ থেকে ২০০ পিস ইয়াবা, একটি ওয়ান শুটার গান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। আহত নয়ন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পুলিশ জানায়, তার নামে অস্ত্র আইনে দুটি, মাদক আইনে ছয়টি মামলা আছে।

সর্বশেষ খবর