সরকারের উদ্দেশে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, সংসদ নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ সরকার ও প্রমাণিত নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। গতকাল রাজধানীর আবদুল্লাহপুর পলওয়েল কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর বিকল্পধারা আয়োজিত আলোচনা সভা ও   ইফতার মাহফিলে তিনি এ দাবি জানান। সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সব বাধা দূর করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমতল ক্ষেত্র ভূমি। এই জায়গায় যদি বিভিন্ন ধরনের বাধা থাকে, তাহলে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে না। এর জন্য প্রথম প্রয়োজন নির্বাচনকালীন সময়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ একটি সরকার এবং প্রমাণিত নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে, যাতে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা তাদের পদমর্যাদার সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে না পারেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিকল্পধারার সভাপতি মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক, বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, মাহফুজুর রহমান, শাহ আহম্মেদ বাদল, আসাদুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।

বি চৌধুরী বলেন, মাদক এবং অন্যান্য অজুহাতে কারা নিহত হচ্ছেন আমরা তা জানি না। তাদের নাম, পরিচয় জানি না। দাবি উঠেছে এরা রাজনৈতিক কর্মী। যদি বিভিন্ন অজুহাতে রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যা এবং জেলে আটক রাখা হয় এবং একটি বিশেষ গোষ্ঠীর কর্মীদের হাতে ময়দান ছেড়ে দেওয়া হয়, তা হলে সেটা নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র ভূমি হলো না, হবে না। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য ও উপেক্ষা করে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন অজুহাতে আটক রাখা পাকিস্তানি এবং ব্রিটিশ আমলের ঔপনিবেশিক মানসিকতা অর্থাৎ ‘বিরোধী দলনে’র স্মৃতি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে সরকারকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতেই হবে। জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আমরা মাদকের বিরোধী কিন্তু বিনা বিচারে হত্যা সমর্থন করি না। খুলনার নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। কিন্তু গাজীপুরে এমন কিছু করার চেষ্টা করলে যুদ্ধ বেধে যাবে। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মাদকের নামে বিনা বিচারে ৫৪ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যারা হত্যা করেছে তাদেরও বিচার করা হবে। রোজার পর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে বিএনপিকে রাজপথের আন্দোলনে নামার আহ্বান জানাই।