সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা দেশের রাস্তার অবস্থা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক ভালো। আমি কথা দিয়েছি, কথা রেখেছি। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিকর। গতকাল সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
কাদের বলেন, সড়ক সম্পর্কে কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানোর পরিপ্র্রেক্ষিতে আমি স্পেশাল কেয়ার নিয়েছি এবারের ঈদে। এবার আমি প্রস্তুতি গত কয়েকবারের চাইতে জোরদার করেছি। গাবতলী পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি প্রত্যেক কাউন্টারে জিজ্ঞাসা করেছি, তাদের অবস্থা। অন্য সময় প্রত্যেক কাউন্টারেই বলে না— ‘ভালো না’। আর এবার একটা কাউন্টারেও বলেনি যে রাস্তা খারাপ বা তাদের ব্যবসা খারাপ। এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেনি। যদি কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা তো ক্ষমতার জন্য ভারতে যাইনি। আমরা ভারতে গিয়ে তিস্তার কথা বলেছি, রোহিঙ্গা সমস্যা, আমাদের জাতীয় স্বার্থ নিয়ে কথা বলেছি। বিএনপি জাতীয় স্বার্থ নিয়ে কি কোনো কথা বলেছে? কোনো পত্র-পত্রিকায় তো দেখলাম না। কোনো মিডিয়ায় কোনো খবর আছে? তারা গেছে ইলেকশনে তাদের সাহায্য করতে এবং নালিশ করতে। ভারত একটা গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের দেশের নির্বাচন, আমাদের দেশের জনগণ যে রায় দেবে সেই ক্ষমতায় আসবে, রায়টাই এখানে বড় কথা। এখানে ভারত কি আমাদের দেশের জনগণকে প্রভাবিত করবে? যে অমুক কে ভোট দেন। আমার তো মনে হয় না। এখানে কোনো বিদেশি শক্তি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই। আর ভারত এযাবৎ আমার জানা মতে কখনো হস্তক্ষেপ করেনি। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বিএনপির দাবির বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাদের বলেন, সিএমএইচের চেয়ে ভালো ব্যবস্থা বাংলাদেশের কোথায় আছে? আপনি আমাকে বলেন? সিএমএইচের চেয়ে ভালো চিকিৎসা বাংলাদেশে কোথাও আছে বলে আমাদের জানা নেই। একটি দেশের বড় দলের নেত্রী তিনি। একটি বড় দলের চেয়ারপারসন তিনি, তার চিকিৎসার ব্যাপারটা যাতে ভালোভাবে হয়, কোনো প্রকার গাফিলতি না হয়। বঙ্গবন্ধুতেও ভালো চিকিৎসক আছে তারপরও যেহেতু তারা চান না, তাহলে সবচেয়ে ভালো যে হাসপাতাল আছে বাংলাদেশে সেটা হচ্ছে সিএমএইচ।আওয়ামী লীগের জোটে শরিকদের আসন বেশি চাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি সবাইকে বলব, আসন ভাগাভাগি নিয়ে জোট নিয়ে আমাদের কিছু কৌশল আছে। এসব ব্যাপারে কেউ যেন কোনো দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য না রাখে। এখানে আমাদের একটা পলিসি আছে, সেটা আসন ভাগাভাগি হোক, জোট গঠনের ক্ষেত্রে হোক। সব ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত হবে। তবে এই ব্যাপারে এখনো দলীয় পর্যায়ে আলোচনা শুরু করিনি। আমাদের নেত্রী বিদেশ থেকে ফিরেছেন, এখন আমরা ঈদের পরে এসব নিয়ে ভাবনা চিন্তা করব। জোট যাদের সঙ্গে হবে, যিনি প্রার্থী হবেন তাকে অবশ্যই উইনেবল প্রার্থী হতে হবে। আমরা হারার জন্য মনোনয়ন দেব না। সে আওয়ামী লীগের হোক বা শরিক কেউ হোক।