শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
উৎকণ্ঠা ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নিয়ে

কেন্দ্র ১২৩ ঝুঁকিতে ১১২

বরিশাল

নিজামুল হক বিপুল ও রাহাত খান, বরিশাল থেকে

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১১২টিকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হচ্ছে ৫০টি। শুধু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হচ্ছে ৬২টি। আর ঝুঁকি নেই এমন কেন্দ্রের সংখ্যা মাত্র ১১টি। বরিশাল মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তা নগরবাসীর। কারণ যত গণ্ডগোল তার মূলে কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এর আগেও এই সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলররাই সমস্যা সৃষ্টি করেছেন। অবশ্য বরাবরের মতো নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকবেন। সাধারণ ভোটাররা যাতে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, কেন্দ্রে যাতে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য বিশেষ নজর দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বরিশাল নগর পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার (ডিবি) মোয়াজ্জেম হোসেন ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যাপারে তাদের পদক্ষেপের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল নগরীর যে কয়টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ সবগুলোতেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নেওয়া হবে। সবগুলো কেন্দ্রেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য তৎপর থাকবে। কোথাও কোনো রকমের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।  বরিশাল সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে কমপক্ষে ৯টি ওয়ার্ডে ভোটের দিন বা তার আগের দিন সহিংসতার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে নগরীর ১১, ১২, ১৪, ২০, ২১, ২৩, ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ড। এসব ওয়ার্ডে মূলত কাউন্সিলর প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরাই সহিংসতার কারণ হতে পারেন। ইতিমধ্যে এসব ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এ কারণেই স্থানীয়দের আশঙ্কা নির্বাচনের দিনও সমস্যা দেখা দিতে পারে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের বিষয়ে প্রশিক্ষণে গত শুক্রবার বাধা প্রধান করেন কাউন্সিলর প্রার্থী জাকির হোসেন ভুলু। এ সময় অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনাও ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা। এতে করে ওই ওয়ার্ডের ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক রয়েছে।পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্যের সঙ্গে দুজন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। তাদের সবার কাছে অস্ত্র থাকবে। এর বাইরে আরও সাত নারী ও সাতজন পুরুষ আনসার সদস্য থাকবে লাঠি হাতে। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার গতকাল বরিশালের প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিন সিটি নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশ। এ নির্বাচনের প্রভাব পড়বে আগামী জাতীয় নির্বাচনে। তাই এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে নির্বাচন কমিশন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর