ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, বাস-ট্রাকগুলোর দৌরাত্ম্য অনেক বেড়ে গিয়েছিল। সাধারণ মানুষ এতে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল। প্রায় প্রতিদিনই তাদের দৌরাত্ম্যের কারণে দুর্ঘটনায় ১০ থেকে ১৫ জন মারা যায়। এ দুর্ঘটনা জনসাধারণের দোষে নয়, ড্রাইভার-হেলপারদের কারণেই ঘটত। মানুষের মনে ক্ষোভ দানা বাঁধতে বাঁধতে আজ এ পর্যায়ে এসেছে। সড়ক পরিবহন আইন দ্রুত পাস করে তা কার্যকর করতে হবে। তাহলে মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এই শিক্ষাবিদ বলেন, যাত্রীরা নিরাপদে দাঁড়িয়ে থাকলেও তাদের ওপর বাস উঠে যাচ্ছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীলদের সমবেদনা না জানিয়ে বিরূপ মন্তব্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছে। এই ইমেরিটাস অধ্যাপক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শক্ত হাতে বিষয়গুলো তদারক করছেন। ইতিমধ্যে তিনি সমবেদনা জানিয়ে নিহতের পরিবারকে অনুদান দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীরা নিজেরা লাইসেন্স চেক করছে। একদিক থেকে তারা ভালো কাজ করছে। মনে হচ্ছে তারা সচেতনতা থেকে এ কাজ করছে। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে তারা ট্রাফিকের কাজ করছে। এ কাজ তো তাদের করার কথা নয়, তাদের মানায় না। অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন দেখে একটি রাজনৈতিক দল সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে। এমনটি উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।