মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

কারও অনুমতি নিয়ে কাজ করবে না দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারও অনুমতি নিয়ে কাজ করবে না দুদক

ইকবাল মাহমুদ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, অসৎ ও দুর্নীতিবাজদের উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তাদের অতি উৎসাহের দিন শেষ। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সবাইকে পর্যায়ক্রমে আইনের আওতায় আনা হবে। এমনকি দুদক ঠুঁটো জগন্নাথও হবে না। গ্রেফতারও থেমে থাকবে না। প্রয়োজনের সময় গ্রেফতার হবে। দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করা সমস্যা হবে না। দুদক কারও অনুমতি নিয়ে কাজ করবে না। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ গত ২০ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেফতারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের বিধান রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক সব সময় আইন মেনে কাজ করবে। স্বাধীন কমিশন যত দিন আছে তত দিন দুর্নীতি করে পার পাওয়া এত সহজ হবে না। দুদকের দায়িত্ব পালনে কোনো সমস্যা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলেন দুদক নখদন্তহীন বাঘ। ওই জমানায় দুদক আর ফিরে যাবে না। দুদক একটি স্বাধীন সংস্থা। দুদকের আইন আছে। দুদক দেশের স্বার্থে কারও অনুমতি নিয়ে কাজ করবে না। পত্রিকায় দেখেছি, আইনটা পাস হতে এখনো সময় লাগবে। পার্লামেন্টে যাবে। বিতর্ক হবে। তবে আমার প্রতিক্রিয়া হলো, কোনো আইনই দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করার জন্য হয় না। সৎ কর্মচারীদের সুরক্ষা দেওয়ায় আইনের প্রয়োজন আছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরাও চাই সৎ যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাদের সুরক্ষার প্রয়োজন। যে আইনই হোক না কেন, জনগণের ইচ্ছা ও কল্যাণেই আইন হয়। জনকল্যাণেই আইন হবে আমি এটা প্রত্যাশা করি।’ তিনি বলেন, ‘আইনটা যেভাবেই পাস হোক না কেন, আমার বিশ্বাস, দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষার জন্য আইন হবে না। আমরা মনে করি সরকার দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষার জন্য কোনো আইন তৈরি করবে না। প্রস্তাবিত আইনটি দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষার জন্য নয়। বরং এটাকে আমি দেখি সৎ কর্মচারীদের সুরক্ষার আইন হিসেবে। তবে গ্রেফতারের বিষয়টি সম্পর্কে এই আইনে কী আছে আমি জানি না। একেক পত্রিকা একেকভাবে লিখেছে।’

সর্বশেষ খবর