বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

চাইলে পাস করা আইনও ফেল করানো যায় : ড. কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাইলে পাস করা আইনও ফেল করানো যায় : ড. কামাল

সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হয়েছে, কিন্তু পাস করা আইনকেও ফেল করানো যায়, ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে এ আইনকে ফেল করাব। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অবশ্যই থাকতে হবে। এটা স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম কথা।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ এ আয়োজন করে। আয়োজক সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক জাহিদুজ্জামান ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএফইউজে একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা প্রমুখ বক্তব্য দেন। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন আয়োজক পরিষদের আহ্বায়ক হাসান হাফিজ। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, আইন দিয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেন খর্ব করা হবে? মুক্তিযুদ্ধের সময় ইত্তেফাকের ভূমিকা কী ছিল তারা ভুলে গেছে? যারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের ফেল করাতে হবে। রাস্তায় না নামলে যারা ক্ষমতায় আছে তারা মনে করে পার পেয়ে যাবে। তিনি বলেন, মুজিবকোট পরে যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, দুর্নীতি করেন— এর চেয়ে বেশি বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করা যায় না। বর্তমান শাসন ব্যবস্থার মধ্যে এমন কিছু লোক ঢুকে গেছে যারা বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করে। মুক্তিযুদ্ধের দলিল দেখতে হলে আমাদের জাদুঘরে যেতে হবে। মানবাধিকার সংবিধানে থাকলেও বাস্তবে আছে কিনা তা দেখতে হবে। রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংবাদিক আতাউস সামাদ গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি থাকলে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াতেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সত্য প্রকাশের জন্য সৎ সাংবাদিক দরকার। সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ হলে তখন দেশে আর গণতন্ত্র থাকে না। গণতন্ত্রবিহীন উন্নয়ন করে তখন আর লাভ হয় না। আর বাক-স্বাধীনতা না থাকলে স্বাধীনতা অর্জন অর্থহীন হয়ে যায়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চেয়ে খারাপ আইন আর হতে পারে না। অন্য বক্তারা বলেন, সাংবাদিক আতাউস সামাদ ছিলেন সত্যের সন্ধানে অকুতোভয়। তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। তিনি আদর্শ থেকে কখনো পিছপা হননি।

সর্বশেষ খবর