একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আলোচনায় থাকা ইভিএম কেনা ও এ সংক্রান্ত প্রকল্প নিয়ে চার নির্বাচন কমিশনার আনঅফিসিয়াল নোট দিয়েছেন।
কমিশনার মো. রকিবুল ইসলাম গতকাল রাতে বলেন, আমরা সবাই মিলে ইসি সচিবের কাছে কিছু বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছি। ইভিএম কতটি করা হয়েছে, আরও কী প্রকল্প রয়েছে— এমন অনেক বিষয় আমরা গণমাধ্যমে দেখি। কিন্তু নিজেরা এসব বিষয়ে কিছু জানি না। এ জন্য বেশ কিছু বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
ইসি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আরপিও সংশোধনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের ‘নোট অব ডিসেন্ট’, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়া’র (ফেমবোসা) নবম সম্মেলনসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, যা দিন দিন প্রকাশ্য রূপ নিচ্ছে। তবে নির্বাচনের আগে কমিশনারদের নিজেদের বিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে ১০টি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে নির্বাচন কমিশন। সংসদ নির্বাচন শেষ করেই দেশব্যাপী উপজেলা নির্বাচন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিতকরণ, ভোটের সময় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ বিরোধ থেকে নিজেদের দূরে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা নির্বাচন কমিশনের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সংসদ বহাল রেখেই নির্বাচন হবে, তাই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, অক্টোবরের পর নির্বাচনকালীন সরকারের সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরোপ, ভোটের সময় সারা দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের পাশাপাশি নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রমাণে কমিশনকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে লক্ষ্যে জোর প্রস্তুতি চলছে নির্বাচন কমিশনে।