রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মনোনয়ন পাচ্ছেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা

রুহুল আমিন রাসেল

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন। এ তালিকায় রয়েছেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক কয়েকজন সভাপতি, বিজিএমইএ সভাপতি এবং শিল্প ও ব্যবসায়িক গ্রুপের কর্ণধার।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চেয়ে শতাধিক ব্যবসায়ী নেতা নিজ নিজ দলে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। তার মধ্যে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি  ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন। প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নেতা, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনীর সোনাগাজী ও দাগনভূইয়া আসনে দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন। ব্যবসায়ী নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান ঢাকা-১ (দোহার ও নবাবগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন। খুলনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছিলেন সাবেক তারকা ফুটবলার বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি এবারও এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন। নারায়ণগঞ্জে আবারও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কুমিল্লার হোমনা ও তিতাস থেকে নির্বাচন করতে পারেন নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা আহমাদ। আরেক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নেতা বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক টিপু মুন্সী আবারও মনোনয়ন পাচ্ছেন। বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি মাহমুদুল হাসান খান বাবু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে চুয়াডাঙ্গা-২ (জীবননগর ও দামুড়হুদা) আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক। নরসিংদী-৪ (বেলাব ও মনোহরদী) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন বিকেএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি এ এইচ এম আসলাম সানি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চেয়ে বেশকিছু ব্যবসায়ী নেতা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে আসা শতাধিক প্রার্থী এত দিন নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়িয়েছেন। দিন কয়েকের মধ্যে দলগুলো মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করতে পারে। শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাচ্ছেন কিনা তা নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আছে। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার আশায় আছেন বিসিআইর সাবেক সভাপতি ও বন্ধ হওয়া সিটিসেলের কর্ণধার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান, একিমর প্রতিষ্ঠাতা মিজানুর রহমান সিনহা, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, আরেক সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, রাজধানীর পুরান ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এফবিসিসিআইর পরিচালক আবু মোতালেব। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান বিজিএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির, এফবিসিসিআইর পরিচালক অভিনেত্রী শমী কায়সার, এফবিসিসিআইর পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান, এফবিসিসিআইর পরিচালক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু নাসের, কুমিল্লা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আফজল খানের পুত্র এফবিসিসিআইর পরিচালক মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, এফবিসিসিআইর পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা ও জুয়েলারি সমিতির সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ রায়।

সর্বশেষ খবর