শিরোনাম
শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রার্থীদের কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে মনে করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। ৩০০ নির্বাচনী আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীদের কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ‘লঙ্ঘন করেননি’ বলেও মন্তব্য করেন সিইসি। তিনি বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার পরিবেশ সৃষ্টি  হয়েছে। গতকাল ঢাকার নির্বাচন ভবনে প্রশিক্ষকদের এক কর্মশালায় সিইসি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা যেটা আশা করেছিলাম, আমাদের সে আশা পূরণ হয়েছে। এবার একটা প্রতিযোগিতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হয়েছে বুধবার। সারা দেশে ৩০০ আসনে মোট ৩০৫৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। সেই সঙ্গে অনলাইনেও ২৩ আবেদন পেয়েছে ইসি। এ পর্যন্ত নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সিইসি বলেন, ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী ও অত্যন্ত সম্মানী’ প্রার্থীরা বুধবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে ‘সুশৃঙ্খলভাবে’ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, টেলিভিশনে সেই দৃশ্য তিনি দেখেছেন। তিনি বলেন, বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। কেউ চারজন, পাঁচজন, সাতজনের বেশি লোক নিয়ে ভিতরে ঢোকেননি। বাইরে হয়তো সমর্থক কিছু বেশি ছিল। সেটা থাকতেই পারে, একজন প্রার্থী সমর্থক নিয়ে আসতেই পারেন। তাও সেটা মোটর শোভাযাত্রা বা গাড়ি শোভাযাত্রা বা শোডাউনের পর্যায়ে পড়ে না।

নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছিল, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কোনোভাবেই ৫ থেকে ৭ জনের বেশি কর্মী-সমর্থক নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে যাওয়া যাবে না। কোনো ধরনের ‘মিছিল শোডাউন’ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রার্থীরা তা মেনে চলায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপগুলোও সুষ্ঠুভাবে শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সিইসি হুদা।

তিনি বলেন, এখন বিশ্বাস করার সুযোগ এসেছে, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, তারা নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে এবং নির্বাচনী কর্মকর্তারা যারা মাঠে কাজ করবেন তাদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। সেই পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি মনে করছি। সিইসি বলেন, সারা দেশে মনোনয়ন জমা দিতে এসে কোথাও কোনো গণ্ডগোল হয়নি, বাধা দেওয়া হয়নি। একটি ‘আনন্দঘন’ পরিবেশে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে বিভিন্ন দল-মতের লোকজনের মধ্যে যখন দেখা হয়েছে, নিজেদের সঙ্গে কোলাকুলি করেছে। এটাই হলো গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনারা যারা মাঠে কাজ করবেন, তাদের কারণে যেন প্রার্থীদের আশা, আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশা ব্যাহত না হয়। সেই দায়িত্বটা প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের জানানো আপনাদের কর্তব্য। সেই প্রশিক্ষণ প্রদান করা আপনাদের দায়িত্ব। নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান, সাত লাখের বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচনের ১০ দিন আগে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে অন্যদের মধ্যে ইটিআই মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক বক্তব্য দেন।

সর্বশেষ খবর