শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
অর্থদণ্ড স্থগিত চেয়ে আপিল

হাফিজ ইব্রাহিমের ভোটের পথও বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় হাই কোর্টের দেওয়া ৫০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বড় ভাই বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম। এদিকে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের দেওয়া রায়টিও প্রকাশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ওই রায়ে ১০ বছর সাজা বাতিল হলেও তিন বছর কারাদণ্ড বহাল রয়েছে। ফলে হাফিজ ইব্রাহিমও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে দুদকের এই আইনজীবী মনে করেন। গতকাল খুরশীদ আলম খান বলেন, বিচারিক আদালত হাফিজ ইব্রাহিমকে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় ১০ বছর দণ্ড দেয়। এ ছাড়া আইনের ২৬ (২) ধারায় তিন বছরের দণ্ড ও জরিমানা করে। কিন্তু হাই কোর্ট ২৭ (১) ধারার দণ্ড বাতিল করেছে। আর ২৬ (২) ধারার দণ্ড বহাল রেখেছে। খুরশীদ আলম বলেন, এ মামলায় কিছুদিন সাজা খাটায় কারাদণ্ড খাটতে হবে না বলে হাই কোর্টের রায়ে বলা হলেও ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বহাল রেখেছে আদালত। তিন বছরের দণ্ড বহাল রাখায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা— এমন প্রশ্নে খুরশীদ আলম খান বলেন, গত মঙ্গলবার হাই কোর্টের দেওয়া আদেশের মধ্যে উনিও পড়তে পারেন বলে মনে হচ্ছে। তবে তিনি অর্থদণ্ড স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন। যা এখনো শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়নি। গত মঙ্গলবার হাই কোর্টের এক আদেশের সঙ্গে দেওয়া পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড চূড়ান্তভাবে বাতিল বা স্থগিত হয়। হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলায় ২০০৮ সালের ১৯ জুন দুদক আইনের দুটি ধারায় হাফিজ ইব্রাহিমকে মোট ১৩ বছরে কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।

সর্বশেষ খবর