শিরোনাম
শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

জামায়াতের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাও আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

জামায়াতের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাও আছে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো যুদ্ধাপরাধীকে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, কোনো যুদ্ধাপরাধীকে আমরা ধানের শীষ প্রতীক দেব না। কেউ যুদ্ধাপরাধ না করে থাকলে তাকে দিতে অসুবিধা কী? জামায়াতের মধ্যেও মুক্তিযোদ্ধা আছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, বেলাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম পটু, এ কে এম আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতে ইসলামীসহ শরিকদের কতসংখ্যক আসন ছেড়েছে বিএনপি— এমন প্রশ্নে ২০-দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘একটাও ছাড়ি নাই কিংবা একটাও ধরি নাই। কারণটা হচ্ছে যে, আমরা প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছি। আমাদের ২০ দলের মধ্যে যারা নিবন্ধিত পার্টি তাদের মনোনয়ন তারাই দিয়েছে। যারা নিবন্ধিত নয় তাদের আমরা চিঠি দিয়েছি।

সবাইকে বলা হয়েছে, আমরা একই আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছি। প্রত্যাহারের আগে আমরা প্রতিটি আসনে একজন করে প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ করব। যখন আমরা প্রতীক বরাদ্দ করব তখন আপনাদের বলব কোন দলকে কয়টা আসন ধরলাম বা ছাড়লাম।’ এ নির্বাচনে দলের কতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেন পরিসংখ্যান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা হিসাব করে বলতে হবে। আমরা কয়েকদিন পরিশ্রম করে একটু ক্লান্ত আর-কি। হিসাবটা করে জানাতে পারব। তবে একই আসনে একাধিক প্রার্থী বহু জায়গায় দিয়েছি।’

বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের মতো নেতাদের মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়াকে ‘নির্বাচনের কৌশল’ হিসেবে দেখছেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনে সব এলাকায় আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখার জন্য যেতেন। এখন তিনি নাই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে নাই। এখন এই কাজ আমাদের অনেকজনকে করতে হবে।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি তো দরখাস্তই করি নাই, রুহুল কবির রিজভীও দরখাস্ত করেন নাই। দলের পক্ষ থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমাদের এসব নেতা নিজেরা নির্বাচন করবেন না, কিন্তু তারা বাকিদের নির্বাচন করে দেবেন। কাজেই আপনারা যাদের কথা বলছেন, তারা যোগ্য মানুষ। আপনি এটাকে নির্বাচনী কৌশলও বলতে পারেন। এরকম নির্বাচনী কৌশল হতেই পারে।’

নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই অভিযোগ করে সারা দেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও মামলা দিয়ে আটক করার নানা ঘটনা তুলে ধরেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, পুলিশ এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তাহলে এই যে আচরণ ও নির্যাতন হচ্ছে, এই যে মিথ্যা মামলা, অযথা হয়রানি, গ্রেফতার, নিখোঁজ করা, সেগুলো কি কমিশনের ইচ্ছায় ঘটছে? না হলে আমরা দাবি করব, অবিলম্বে ওইসব অনাচারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক, বিচার করা হোক। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’

সর্বশেষ খবর