বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে এক নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের জের ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আটক ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি রেজাউল হক এবং বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা। তিনি জানান, মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনি ৬টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। বাকি মামলাগুলোতে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট না থাকার কারণে এ অবস্থায় তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। ঢাকার গুলশান থানায় ২৬ অক্টোবর করা এ মামলায় মইনুলকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট। ১৬ অক্টোবর রাতে বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তরের টকশোতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জামায়াতের এজেন্ট বললে তিনি সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে ফেসবুকে তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় ব্যারিস্টার মইনুল প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। এ ছাড়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। এর পর রংপুর, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল আইনে মামলা হয়। রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় ২২ অক্টোবর রাতে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতে নেওয়া হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।