শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইসিতে পাঁচ নালিশ

জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা বাতিল দাবি আওয়ামী লীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক

মনোনয়নপত্রে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া বিএনপির প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টারে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে দলটি। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর বিএনপি হামলা করছে এমন অভিযোগসহ কমিশনকে পাঁচটি বিষয়ে অবহিত করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো- চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধি দল গতকাল সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব দাবি জানান। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন। প্রতিনিধি দলে আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওসারসহ কয়েকজন ছিলেন। পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন এইচ টি ইমাম। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যন বলেন, আমরা যে পাঁচটি বিষয় কমিশনকে অবহিত করেছি তা হলো— প্রথমত, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর বিএনপি হামলা করছে। সারা দেশে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর ব্যাপকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। আমাদের যারা আক্রান্ত হয়েছে, যেসব স্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে, সেগুলো কমিশনকে জানিয়েছি। কমিশনের কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়েছি। আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বারবার আক্রমণের শিকার হচ্ছে। আমরা কাউকে আক্রমণ করি না। কিন্তু একটি বিষয় লক্ষ করছি, উল্টো বিএনপি ও জামায়াতপন্থিরা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। এ জন্য আমাদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, তা কমিশনকে জানানোর জন্য এখানে এসেছি। দ্বিতীয়ত, আচরণবিধি মেনে চলার প্রসঙ্গে আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে সরকারি কোনো কিছু ব্যবহার করছি না। দল ও সরকারের পার্থক্য বজায় রাখার চেষ্টা করছি। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকসহ সবাইকে এই আচরণবিধি সম্পর্কে শুরু থেকে অবহিত করে রেখেছি এবং তারা সেটি মেনে চলছেন। তৃতীয়ত, জামায়াতের প্রার্থীদের বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। জামায়াতের প্রার্থীদের যে তালিকা রয়েছে, এ ব্যাপারে নিষ্পত্তি করার জন্য কমিশনকে বলা হয়েছে। আমরা কমিশনকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কারণ তারা হলফনামায় ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তারা হলফনামায় ধানের শীষের প্রার্থী বলে দাবি করলেও বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, তারা জামায়াতের প্রার্থী। তাদের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আমরা কমিশনকে অনুরোধ করেছি। চতুর্থত, নির্বাচনী পোস্টারে ছবির ব্যবহার নিয়ে আমরা কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী দলীয় প্রধানের ও প্রার্থীর ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি ব্যবহার করছি না। এমনকি বঙ্গবন্ধুর ছবিও ব্যবহার করা হচ্ছে না। কিন্তু বিএনপি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করছে। তারা দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, এর মধ্যে তারেক রহমান পলাতক। দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক ব্যক্তির ছবি পোস্টারে ব্যবহার করা আইনসঙ্গত কিনা সে ব্যাপারে কমিশনকে জানিয়েছি। পঞ্চমত, নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়ে আমরা কথা বলেছি। ১১৮টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আমাদের মারাত্মক আপত্তি আছে। এগুলো পারিবারিক ও পক্ষপাতমূলক। এর একটি হলো— খান ফাউন্ডেশন, যেটি বিএনপি নেতা আবদুল মঈন খান পরিচালনা করেন। দ্বিতীয়টি হলো— ডেমোক্রেসি ওয়াচ, যার পরিচালক শফিক রেহমান,  তৃতীয়টি লাইট হাউস, প্রতিষ্ঠাতা তারেক রহমান। চতুর্থটির পরিচলক আদিলুর রহমান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর