দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতির মহাসমুদ্রে আমি কাকে ধরব। গালভরা রিপোর্ট সবাই দিতে পারে। আপনাদেরকে বলতে হবে কোন সরকারি কর্মকর্তা, কোন রাজনৈতিক নেতা দুর্নীতি করছে। কারা কীভাবে কোথায় অর্থ পাচার করেছেন। তা না হলে, কাকে খুঁজব? আপনাদের রিপোর্টে যদি ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার না থাকে, তবে সে রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য হবে না। গতকাল দ্বিমত থাকলেও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদনকে স্বাগতম জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি সেগুনবাগিচায় প্রধান কার্যালয়ের নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন। ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, টিআইবিকে আমরা আগেও বলেছি, আপনারা কোন মেথোডোলজি ইউজ করেছেন। আমাদের জানান। নিশ্চয়ই তাদের কাছে ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার আছে। আমাদের কাছে এখনো প্রতিবেদনটা এসে পৌঁছায়নি। হাতে এলে আমরা তা দেখব। ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, দুদকের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো কোনো আইন হয়নি। টিআইবি আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমরাও টিআইবির প্রতিপক্ষ নই। এর আগে সকালে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি জানায়, ২০১৮ সালে দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। অন্যদিকে ২৮ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআই তাদের গ্লোবাল রিপোর্টে জানায়, কেবল ২০১৫ সালেই বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার ওপর পাচার হয়েছে। গত ১০ বছরে (২০০৬ থেকে ২০১৫) বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৯ কোটি ডলার অর্থাৎ ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
