দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিক মূল্যবোধে জাগ্রত করাসহ দুদক বহুমাত্রিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে কমিশনের সক্ষমতা এখনো কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। গতকাল জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতিনিধি ফিলিয়াট ম্যাটসেজার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে দুদক চেয়ারম্যান এই মন্তব্য করেন। বৈঠকে ফিলিয়াট ম্যাটসেজা দুদকের প্রতিরোধ কার্যক্রমসহ সার্বিক কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চান। ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি দমন, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের সব কার্যক্রম সমান গুরুত্বসহ পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিকারমূলক কার্যক্রমের ফলাফল স্বয়ংক্রিয়ভাবেই প্রতিরোধমূলক কাজে পরিণত হয় বলে অনেকে মনে করেন। কারণ, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত এবং প্রসিকিউশনের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি হলে তা দুর্নীতি প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, তাত্ত্বিকভাবে অনেকে বলেন, অর্থনৈতিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতিও বিকশিত হয়। কমিশন এই দুর্নীতিকেই নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০টি স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে কমিশন। ফিলিয়াট ম্যাটসেজা দুদকের কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, দুর্নীতি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। দুদকের সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক কাজে ইউএনডিপির সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে।