রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চন্দ্রাভিযান ব্যর্থতায় যা বললেন মোদি

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

চন্দ্রাভিযান ব্যর্থতায় যা বললেন মোদি

বহু প্রতীক্ষিত ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হয়েছে। চাঁদের মাটি থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার ওপরে গতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে চন্দ্রযান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া মোটরযান ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের মাটিতেই আছড়ে পড়ে। কেঁদে ফেললেন ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) বিজ্ঞানী ড. এস শিভম। সারা রাত বিজ্ঞানীদের সঙ্গে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, কিছুই ব্যর্থ হয়নি। আপনাদের জন্য গোটা দেশ গর্বিত। শুক্রবার গোটা ভারত প্রায় জেগে ছিল চাঁদের মাটিতে ভারতের চন্দ্রযান নামার অভিজ্ঞতা দেখতে। সবই চলছিল ঠিকঠাক। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন হয়ে যায় ইসরোর বিজ্ঞানীদের। পরে বোঝা গেল, বিক্রম আছড়ে পড়েছে চাঁদের মাটিতে। ভারতের এই দ্বিতীয় চন্দ্রযান ‘বাহুবলী’ রকেটের মাধ্যমে পৃথিবীর আকাশ ছাড়িয়ে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছায়। তারপর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা বিক্রমের। বিক্রমের পেটে রয়েছে চাঁদের গাড়ি প্রজ্ঞান। ল্যান্ডার নামার পরে ডালা খুলে নেমে আসত প্রজ্ঞান। ঘুরে বেড়াত চাঁদের মাটিতে। আজ পর্যন্ত কোনো দেশ এই দক্ষিণ মেরুতে নামেনি। চাঁদের মাটিতে পানি খোঁজার জন্যই এই যাত্রা। শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মেয়াদে মোদি সরকারের ১০০ দিনের পূর্তি। পরিকল্পনা ছিল চাঁদের এই অভিযানকে নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রচারের। প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে সকালেই টুইট করে দেশবাসীকে বলেন, ‘আজ নিশি জেগে চন্দ্রাভিযান প্রত্যক্ষ করুন।’ এ পরিকল্পনা সফল হলে চাঁদের মাটি ছোঁয়া দেশ হিসেবে আমেরিকা-রাশিয়া-চীনের পরে ভারত হতো চতুর্থ দেশ। ভারতীয় সময় রাত ১-৫৫ মিনিটে নামার কথা ছিল বিক্রমের। কিন্তু তার ৫ মিনিট আগে থেকেই আর কোনো সিগন্যাল নেই। ভারতের মূল যে চন্দ্রযান সেটা কিন্তু তার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে নিয়মিত ছবি পাঠিয়ে চলেছে। বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ এই চন্দ্রযানের। এই যান আগামী এক বছর প্রদক্ষিণ করবে। মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে ইসরোর প্রধান শিভম আগেই বলেছিলেন, বিক্রমের চাঁদের মাটিতে নামার শেষ ১৫ মিনিট ‘দুর্ধর্ষ মুহূর্ত’ বা ফিফটি মিনিটস টেরর। সেই টেররই সত্যি হলো। ইসরোর বিজ্ঞানীদের সম্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বললেন, ‘আমরা মোটেই পিছিয়ে পড়িনি। বরং চাঁদকে ছোঁয়ার আগ্রহ আরও প্রবল হলো।’ ভারত আগেই চাঁদের কক্ষপথে উপগ্রহ পাঠিয়েছিল। এবার চাঁদের মাটিতে পা ফেলার দুঃসাহস করেছিলেন ভারতের বিজ্ঞানীরা।

সর্বশেষ খবর