রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

এত দিনের রসায়নকে কার্যকর মনে করে বহাল রাখা হয়েছে

জুলকার নাইন

এত দিনের রসায়নকে কার্যকর মনে করে বহাল রাখা হয়েছে

মহিউদ্দিন আহমদ

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ছিল অত্যন্ত জমজমাট। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল খুবই চমৎকারভাবে সাজানো-গোছানো। একটি কাউন্সিল দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি তিন বছর পর এটা আসলে দলের নেতা-কর্মীদের জন্য একটা পুনর্মিলনী। কাউন্সিল একটা রুটিন ওয়ার্ক। কিন্তু কমিটিতে কোনো অদলবদল হয় কিনা তা নিয়ে দলের ভিতরে জল্পনা-কল্পনা ছিল। বিশেষ করে  সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই কানাঘুষা ছিল বেশি। দেখা যাচ্ছে দলের শীর্ষ নীতিনির্ধারক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ওপর আস্থা রেখেছেন। গত তিন বছরে তাঁদের মধ্যে যে রসায়ন তৈরি হয়েছে, এটাকে তিনি কার্যকর মনে করছেন। এজন্য আরও তিন বছর তিনি এটা অব্যাহত রাখবেন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মহিউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেখা গেল আরও কয়েকজনের পদোন্নতি হয়েছে। হয়তো তিনি ভেবেছেন তাঁরা ভালো কাজ করেছেন বা এঁদের সক্ষমতা বেশি। পুরো কমিটি হলে কিছু লোক হয়তো বাদ পড়বেন। কারণ উপদেষ্টা কমিটির সংখ্যা বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই একটা ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে কিছু লোক হয়তো সেখানে নতুন করে সংযুক্ত হবেন। সমসাময়িক রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের এবারের কাউন্সিলের প্রভাব নিয়ে জানতে চাইলে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, তেমন কোনো প্রভাব নেই। এটা দলকেই একটা নাড়া দেওয়া হলো। বাইরে খুব একটা আগ্রহ নেই। কারণ রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগ এখন একতরফা খেলছে, সে রকম কোনো প্রতিপক্ষ বা প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। প্রতিযোগিতা না থাকলে কোনো নির্দিষ্ট দলের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের তেমন একটা আগ্রহ থাকে না। তিনি বলেন, আসলে দলটাই তো দেখা যায় না। কারণ দলের নেতারা সবাই সরকারে আছেন। সরকারপ্রধান নিজেই দলের সভানেত্রী। তিনি এক হাতেই সব সামলাচ্ছেন। একক নিয়ন্ত্রণেই সরকার ও দল রয়েছে। সুতরাং সেখানে অন্য কে এলো বা গেল এটা খুব একটা মুখ্য বিষয় নয়। তবে কাউন্সিলে মানুষ আশা করে সেখানে কিছু নীতিনির্ধারণী কথা বলা হবে, যার ভিত্তিতে আগামী বছরগুলোয় দল বা সরকার পরিচালিত হবে। কিন্তু এখন তো আর দলের নীতি সরকার বাস্তবায়ন করে না। বরং সরকারের নীতি দল সমর্থন করে যায়। এসব কারণে সেভাবে কোনো নীতিনির্ধারণী কথাও এবার কাউন্সিলে শোনা যায়নি।

সর্বশেষ খবর