বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম সিটি ভোট মার্চ-জুনে

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন নতুন বছরের মার্চ অথবা জুনে হতে পারে। হালনাগাদ ভোটার কী পরিমাণ বাড়তে পারে, তা বিবেচনা করেই ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্বাচনী দিন গণনা শুরু হবে। অন্যদিকে জুন মাসে নির্বাচন করা যাবে কিনা তা নিয়েও ভাবছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। তারা বলেন, জুন মাসে বর্ষাকাল শুরু হবে। গত মৌসুমেও অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ২০১০ সালে নির্বাচন জুনেই হয়েছিল। এ সময় নগরীর বাকলিয়া, চকবাজার, শুলকবহর, বাদুরতলা, মুরাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু ভোটকেন্দ্র পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল। জুনের আগেই ভোটগ্রহণের কথা চিন্তা করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অনেকেই। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, মনে হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটির মার্চ বা জুনেই নির্বাচন হতে পারে। ঢাকার নির্বাচন নিয়েই এখন চলছে আলোচনা। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন নিয়ে চলবে ব্যাপক প্রস্তুতি। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, চসিক নির্বাচন জুনে বলা হলেও মার্চেই হতে পারে।

 কারণ পরীক্ষা থাকবে না, বৃষ্টিও থাকবে না, আবহাওয়াও ভালো থাকবে। নির্বাচনটা সুন্দরভাবে করা যাবে।

তিনি বলেন, জানুয়ারিতে হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। যেহেতু ভোটার বাড়বে, কেন্দ্রও আমাদের কিছু বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। তা ভোটার তালিকা দেখে ঠিক করব। এখন যেটা করা হচ্ছে, পুরনো ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটগ্রহণের উপযোগী আছে কি না তা সরেজমিনে দেখা হচ্ছে।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা মহানগরের উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়েছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনে বলা আছে, নির্বাচিত পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সভার পাঁচ বছর মেয়াদ পূরণের দিন থেকে ১৮০ দিন আগ পর্যন্ত যে কোনোদিন নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। ভোটগ্রহণের পর মে মাসেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা দায়িত্ব নেন। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও ৪১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা দায়িত্ব নিয়ে প্রথম সভা করেছেন ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট। সে হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট। ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার নয় লাখ ৩৭ হাজার ৫৩ জন এবং নারী ভোটার আট লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৬ জন। ২০১০ সালের জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৮ জন। তবে এবার ১০ শতাংশ হারে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ ভোটার বাড়তে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর