ঘন কুয়াশার কারণে ভিজিবিলিটি কম থাকায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ ছিল। ফ্লাইট বন্ধ থাকার ৬ ঘণ্টা পর গতকাল সকাল সোয়া ৯টায় আবারও শুরু হয় বিমানের ওঠানামা। এর আগে ঘন কুয়াশার কারণে রাত সোয়া ৩টা থেকে বন্ধ ছিল বিমানের উঠানামা। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, কুয়াশায় রানওয়ে দেখা না যাওয়ায় বাংলাদেশ বিমানের কুয়ালালমপুর ও দুবাই থেকে আসা দুটি ফ্লাইট ফেরত যায় এবং কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। একই কারণে সৌদি এয়ারলাইন্স ও এমিরেটস এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইটও যেতে পারেনি। গতকাল সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ কোনো রুটে কোনো ফ্লাইট নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। এরমধ্যে নভোএয়ারের চারটি ফ্লাইট ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের তিনটি ফ্লাইট ছিল। ভিজিবিলিটি ৫০ থেকে ১০০ মিটারে নেমে আসায় বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিমানবন্দরের উপ-পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান। এরপর ঘন কুয়াশা কেটে গেলে ফের সচল হয় বিমানবন্দর।
তাপমাত্রা আজ থেকে ক্রমেই বাড়বে : সারা দেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহের অবসান হচ্ছে। আজ থেকে ক্রমেই বাড়বে তাপমাত্রা, কমবে শীতের দাপট। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গতকাল সন্ধ্যায় জানান, আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে ক্রমেই। এরপর তাপমাত্রা কমতে পারে। চলমান এই শৈত্যপ্রবাহের আর বিস্তার ঘটবে না। তবে এ মাসের শেষে একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
গতকাল আবহাওয়া অধিদফতরের আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের পূর্বাঞ্চলে তা দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে। সারা দেশের রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর ও চূয়াডাঙ্গা অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সেখানে গতকাল ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।গত তিন দিন ধরে উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশের কয়েকটি জেলায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে, এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীত, ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় নাকাল হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও চাষিরা। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপে শ্বাসকষ্টসহ ডায়রিয়ায় ভুগছে বিভিন্ন জেলায় শিশু ও বৃদ্ধরা। তীব্র শীতের কারণে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে বিভিন্ন হাসপাতালে। শীত আর ঠান্ডায় শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, জ্বর, পাতলা পায়খানাসহ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে অনেক মানুষ।