আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আসন্ন সিটি নির্বাচনে আমরা স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দিয়েছি। এই দাবি বিএনপি করতে পারবে না। নির্বাচন হবে ভয়মুক্ত, স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ। আমরা বিতর্কমুক্ত নির্বাচন করতে চাই। কারণ আমাদের প্রার্থীদের ইমেজ সংকট নেই। জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’ গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগের আয়োজনে ‘কৃষকের স্বাস্থ্যসেবা’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কৃষক লীগের উদ্যোগে আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষকদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেবে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনটি। উদ্বোধনী দিনে প্রায় দেড় শতাধিক কৃষক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেন। এতে বিনা মূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র, রক্ত পরীক্ষা, ডায়াবেটিস, প্রেশার পরীক্ষা করা হয়। পরে কিছু ওষুধ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়। কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাচিপের মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে ইভিএম-এর পক্ষে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে ইভিএম রাখবে না, সেটা ইসির বিষয়। প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলেছেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ হতে হবে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। রেজাল্ট যেটাই হোক সরকারি দল মেনে নেবে। প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত নির্বাচন করতে চাই না। নির্বাচনী প্রচারণা অভিযানে আমাদের প্রার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির সমস্যা হচ্ছে, বিএনপি একটা নালিশ আর অভিযোগের দলে পরিণত হয়েছে। তারা নির্বাচনের ফল গণনার শেষ পর্যন্ত বলতে থাকে নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে কারচুপি হয়েছে, পক্ষপাতমূলক নির্বাচন হয়েছে। এসব অবান্তর অভিযোগ তারা সিলেট সিটি নির্বাচনেও করেছে। পরে দেখা গেল তারা জিতেছে। শেষ পর্যন্ত তারা বলতে থাকবে, এটা তাদের পুরনো অভ্যাস। তাদের অভয় দিলেও বলবে, কারণ তারা নিজেরাই ভয়ের মধ্যে থাকে।’ কৃষক লীগে বিতর্কিতদের স্থান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, যাতে বিতর্কিত কোনো লোক কৃষক লীগের কমিটিতে স্থান না পায়। অনেকে কৃষক লীগের ধারেকাছেও নেই, অথচ কৃষক লীগের পরিচয় দেয়। এটা যেন ভবিষ্যতে না হয়। কৃষকের কর্মক্ষেত্রে নেই এমন ব্যক্তিদের কৃষক লীগের কমিটিতে যেন স্থান দেওয়া না হয়।