শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

গণপরিবহনকে আগের ভাড়ায় ফেরাতে জরুরি কঠোরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণপরিবহনকে আগের ভাড়ায় ফেরাতে জরুরি কঠোরতা

সৈয়দ আবুল মকসুদ

সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল ও টাস্কফোর্সের সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, পরিবহন মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করতেই গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়। কিন্তু তারা সরকারকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। বাসভর্তি যাত্রী তুলে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভাড়া নিয়েছেন পৌনে দুইগুণ। এখন গণপরিবহনকে আগের ভাড়ায় ফেরাতে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।

গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে  বলেন, গণপরিবহনের মালিকরা দুই মাস লোকসান দিয়েছেন। বড় কয়েকটি পরিবহন কোম্পানির শ্রমিক ছাড়া ছোট ও মাঝারি কোম্পানির শ্রমিকরা বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন। মালিক-শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সীমিত আকারে পরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত যখন হয়, তখন কিছু শর্তসাপেক্ষে ভাড়া বাড়ানো হয় ৬০ শতাংশ। আমরা নাগরিকদের পক্ষ থেকে ভাড়া বাড়ানোর বিরোধিতা করেছিলাম। তখন মানুষের রোজগার বন্ধ। তখন পরিবহন ভাড়া বাড়ানো ছিল নিষ্ঠুরতা। বরং কমানোই ছিল যুক্তিসঙ্গত। মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করতেই ভাড়া বাড়ানো হয়। কিন্তু মালিকরা সরকারকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বাসভর্তি যাত্রী নিয়েছেন, ভাড়া নিয়েছেন পৌনে দুইগুণ। মাস্ক পরা, জীবাণুনাশক ব্যবহার, এক সিট ছেড়ে দূরত্বে বসা কিছুই তারা মানেননি। এর মধ্যে শর্ত পালনের তোয়াক্কা না করে কিছু দিন ধরে আগের মতো স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছিল গণপরিবহন। আমরা দাবি করছিলাম আগের ভাড়ায় ফিরে যেতে। পরিবহন মালিক, শ্রমিক নেতারা সরকারি দলেরও নেতা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একা, অন্যদিকে মালিক ও শ্রমিক নেতারা সংখ্যায় বেশি। তারা সরকারি দলের লোক হয়েও সরকার ও যাত্রীদের জিম্মি করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেন। স্বাস্থ্যবিধির চেয়ে স্বার্থ রক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তাদের কাছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের ভাড়ায় যদি পরিবহন না চলে তা হবে সরকার ও জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর