একনায়কতন্ত্র শাসন থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে ‘ইস্পাতকঠিন ঐক্য’ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা এখন যে আন্দোলন সংগ্রাম করছি, সেটা আমাদের বাঁচা মরার লড়াই। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের লড়াই। এই সংগ্রাম খুবই কঠিন। একনায়কতন্ত্র থেকে ডেমোক্রেসিতে ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন লড়াই। সেই লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতে হবে। সেজন্য আমাদের প্রয়োজন ইস্পাত কঠিন ঐক্য। একদিকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর ঐক্য অন্যদিকে এখন জাতীয় ঐক্য জরুরি। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয়তাবাদী দলের চিকিৎসক সংগঠন ‘ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব’-এর ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ড্যাবের ওপর প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুস সালাম ও সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সেলিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ড্যাবের অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, জহিরুল ইসলাম শাকিল, মেহেদি হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় ড্যাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ বিভিন্ন জেলার চিকিৎসকরা যুক্ত ছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, একদিকে যেমন করোনা প্রতিরোধের জন্য আমরা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করছি, অন্যদিকে গণতন্ত্রকে ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা জরুরি। আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক তিনি। আমাদের সম্ভাবনাময় তরুণ নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।  যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছি, সেই আন্দোলনকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।