২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের জনসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা ও ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন টেকনাফের ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে বদির চার ভাই ও চার স্বজনসহ ২৭ জন কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরেছেন।
আত্মসমর্পণের পর ১০২ জন ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। গত ২০ জানুয়ারি দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আত্মসমর্পণ করা ১০২ জনের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। মুক্তি পাওয়া ১৫ জনের মধ্যে আবদুর রহমান বদির চার ভাই আবদুল শুক্কুর, শফিকুল ইসলাম, ফয়সাল ইসলাম ও আবদুল আমিন, বদির মামা মং মং চিং, ভাগনে সাহেদুর রহমান, ফুফাতো ভাই কামরুল হাসান, চাচাতো ভাই মো. আলমও আছেন। কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক নেছার আলম বলেন, আদালতের নির্দেশে আজ (গতকাল) ১৫ জন এবং কয়েক দিন আগে দুই দফায় ১২ জনকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭৪ জন কারাগারে আছেন। কারা সূত্র জানায়, সর্বশেষ গতকাল দুপুরে জামিনে মুক্তি পান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ১৫ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী। কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে পাঁচজন জামিন পান। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর জামিন পান সাতজন। একই আদালত থেকে ৩ নভেম্বর জামিন পেয়েছেন আরও ১৫ জন। আসামিদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা আছে কিনা, এত দিন তা যাচাই-বাছাই করা হয়েছিল। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কারাগারে থাকা আসামিদের মধ্যে ৪৭ জনের পক্ষে আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়। জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল জামিন নামঞ্জুর করে ২২ নভেম্বর শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।