কুয়েতে গ্রেফতার সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে দুদকের এ মামলায় আগাম জামিন চেয়ে আবেদনের পর হাই কোর্ট তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। সে অনুসারে আত্মসমর্পণের পর তাদের ২৭ ডিসেম্বর জামিন দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।            ওই জামিন বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করে দুদক।

পরে একই বছর ১১ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের এমপি সেলিনা ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- এমপি পাপুল, তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও সেলিনার বোন জেসমিন প্রধান। অর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগে দন্ডিত হয়ে বর্তমানে কুয়েতে কারাগারে আছেন স্বতন্ত্র এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।