স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ বলেছেন, ‘মার্চের প্রথম থেকেই সংক্রমণহার ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক মানুষ মারা যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার যে বিধিনিষেধ দিয়েছে তা মানতে হবে। নিজেদের সচেতন হতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ কমবে না।’
গতকাল এই চিকিৎসক নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর সারা দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক সংক্রমণের কারণে আক্রান্ত বাড়তে থাকে। আগস্টে গিয়ে রোগী কমতে থাকে। এ বছরের জানুয়ারিতে সংক্রমণ কমে আসে এবং শুরু হয় টিকাদান কর্মসূচি। কিন্তু হঠাৎই মার্চ থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। গতকালও ৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৫২ জন। এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সিট পাওয়া যাচ্ছে, চিকিৎসকরা সেবা দিতে পারছেন। কিন্তু এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, সচেতন না হলে করোনা সংক্রমণ কমবে না। তাই সাবান কিংবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে হবে, মাস্ক পরতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সরকারের দেওয়া ১৮ দফা নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। অনেকে ছুটি মনে করে গ্রামের বাড়ি রওনা হয়েছেন। বাড়ি যেতে বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাটে ভিড় করছেন। এতে সংক্রমণ আরও বাড়বে, ছড়িয়ে পড়বে। তাই সচেতন হতে হবে। নিজে সুস্থ থেকে পরিবার ও আশপাশের মানুষকে সুস্থ রাখতে হবে।’