যশোরে যুবলীগের বর্ধিত সভায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে পাঁচ যুবক ছুরিকাহত হয়েছে। তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। আহতরা হলেন- টিটো হোসেন, ইসমাইল হোসেন হ্যাপি, আকিবুল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম ও রাসেল মাহমুদ। আহতদের বাড়ি যশোর সদর উপজেলায়। যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আবদুর রশিদ জানান, আহতদের মধ্যে টিটো ও খাইরুলের জখম গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে যশোর শহরের সিসিটিএস মিলনায়তনে জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল উদ্দিন। সভায় যোগ দিতে যশোর শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী শহরে আসেন। আহতরা জানান, যুবলীগের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে তারা স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে সকালে যশোর শহরে আসেন। দুপুর দেড়টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতারা সার্কিট হাউস থেকে চিত্রা মোড়ে একটি আবাসিক হোটেলের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় নেতাদের গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে তারাও সেদিকে যাচ্ছিলেন। পথে মাইকপট্টিতে একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তাদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবির ওসি রূপণ কুমার সরকার জানান, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আরএন রোড এলাকায় ব্যক্তিগত পূর্বশত্রুতার জের ধরে শামীমকে ছুরিকাঘাত করে। এর জের ধরে দুপুর দেড়টার দিকে শামীমের লোকজন জজ কোর্ট মোড়ে টিটু, হ্যাপি, খাইরুলকে ছুরিকাঘাত করে জখম করে। এ ঘটনার সঙ্গে যুবলীগের বর্ধিত সভার কোনো সম্পর্ক নেই। আহতরা কোনো রাজনৈতিক দলের মতাদর্শের কি না সে বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলেও জানান ডিবি পুলিশের ওসি রূপণ কুমার সরকার।