রবিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢামেকে করোনা রোগী বেড়েছে ৬ গুণ

প্রতিদিন টিকা নিচ্ছেন ৫ হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ডিসেম্বরে ৬ গুণ বেড়েছে। গত এক বছরে ৫ লাখের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে এ হাসপাতালে। এখনো প্রতিদিন ৫ হাজার টিকা দেওয়া হচ্ছে। গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

ঢামেক হাসপাতালের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ঢামেকের প্রিন্সিপাল টিটো মিঞা, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেবেশ চন্দ্র তালুকদার, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আশরাফুল আলম, মেডিসিন স্টোরের কর্মকর্তা (এসএলপিপি) ডা. মশিউর রহমানসহ নার্সরা উপস্থিত ছিলেন। ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানাতে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় ঢামেক পরিচালক জানান, ২০২১ সালে বহির্বিভাগে ৭ লাখ ৩০ হাজার রোগী দেখা হয়েছে। জরুরি বিভাগে ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি রোগী দেখা হয়েছে। ভর্তি করা হয়েছে ৭৪ হাজারের বেশি রোগী। প্রায় ১৯ হাজার বড় অপারেশন হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ২৪ হাজার ছোট অপারেশন হয়েছে। কভিড রোগী ভর্তি হয়েছে ১৭ হাজার ৬০০ জন। মুমূর্ষু রোগী বেশি আসায় গড়ে দৈনিক ২৫ জন মারা যান। অন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ঢামেক হাসপাতালে রোগী পাঠানো হয়। অনেকের অবস্থা জটিল থাকে। তাই কাউকে কাউকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

পরিচালক আরও জানান, আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে জরুরি বিভাগে সেবার পরিধি আরও বাড়ানো হবে। যেখানে ৭০-৮০ জন রোগী ভর্তি করা হবে। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে ওয়ার্ডে পাঠনো হবে। যাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেই হয়, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বহির্বিভাগে রোগীদের টিকিট নেওয়ার জন্য যে দীর্ঘ লাইন ধরতে হয়, তা যেন না হয়, সে জন্য একাধিক কাউন্টার করারও পরিকল্পনা রয়েছে। ঢামেক হাসপাতালে বছরের ৩৬৫ দিনই ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়া হয়। ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিন সকালে অরাজকতা সৃষ্টি হয়। যত্রতত্র অ্যাম্বুলেন্স রেখে জটিলতার তৈরি হয়। এতে রোগী ও স্বজনদের চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়- এমন প্রশ্নের জবাবে পরিচালক নাজমুল হক বলেন, ঢাকা মেডিকেলের সামনের পরিবেশ ভালো রাখতে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থাপনার অ্যাপস ও টোকেন সিস্টেম চালু করা হবে। যার বেশির ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। এতে জরুরি বিভাগে অরাজকতা থাকবে না।

ঢামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক টিটো মিঞা বলেন, পৃথিবীতে এটা বিরল, যেখানে কোনো রোগী ফেরত পাঠানো হয় না। সিট (শয্যা) না পাওয়া রোগীদেরও চিকিৎসা দেওয়া হয়।

কভিড নিয়ে তিনি বলেন, প্রথম দিকে যত রোগী পেয়েছি তা ছিল ডেল্টায় আক্রান্ত। বর্তমানে যত রোগী পাওয়া যাচ্ছে, এর মধ্যে অধিকাংশই ওমিক্রন। এসব রোগীর খুব একটা অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে না। ফলে মৃত্যুর সংখ্যাও কম। যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমণের পাশাপাশি অন্য সমস্যাও দেখা গেছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এ জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর