মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ইভ্যালির লকার ভেঙে পাওয়া গেল ২ হাজার ৫৩০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইভ্যালির লকার ভাঙার পর পাওয়া গেল মাত্র ২ হাজার ৫৩০ টাকা, কিছু চেকবই ও ফাইলপত্র। দুটি লকার ভেঙে প্রত্যাশা মাফিক অর্থ-সম্পদ না পেয়ে রীতিমতো হতাশ আদালতের নির্দেশে গঠিত পরিচালনা পর্ষদ।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ের দুটি লকারের পাসওয়ার্ড না পেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুটি লকার ভাঙা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনায় গঠিত বোর্ডের পাঁচ সদস্যই এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া লকার ভাঙার সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত।

বোর্ড চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বিকাল ৫টার দিকে ধানমন্ডি ইভ্যালির কার্যালয়ের দুটি লকার ভাঙা শেষে সাংবাদিকদের হতাশার কথা জানান। তিনি বলেন, একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুটি লকার ভাঙা হয়। আপনারা সবাই দেখেছেন সেখানে কী কী পাওয়া গেছে। আমরা অবশ্যই হতাশ। আমরা আশা করেছিলাম, এখানে অনেকগুলো টাকা পাওয়া যাবে। যেহেতু সিন্দুক, সিন্দুকে টাকাই থাকে। কিন্তু আমরা সেখানেই ২ হাজার ৫৩০ টাকার মতো পেয়েছি যে কারণে আমরা হতাশ।

দুটি লকার খোলা শেষে ইভ্যালির নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে জানানো হয়, সাউথইস্ট ও সিটি ব্যাংকে ইভ্যালির ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এ টাকা উত্তোলনের অনুমতি মিলেছে।

হাই কোর্টের নির্দেশে গত ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির পরিচালনার দায়িত্ব নেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ। অন্য বোর্ড সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি রেজাউল আহসান, আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মো. শামীম আজিজ, অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, এফসিএ অ্যান্ড এফসিএমএর সাবেক চিফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ

সংবাদ সম্মেলনে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ইভ্যালির সার্ভারটি বন্ধ হয়ে আছে। সার্ভারটি চালায় অ্যামাজন ডটকম। তারা ৬ কোটি টাকা পাবে। এ টাকা পরিশোধ না করা হলে সার্ভার খুলবে না। সার্ভার ছাড়া কোনো গ্রাহক ইভ্যালির কাছে কত টাকা পায়, কার মালামাল কোনটা, কে মাল দিয়েছে, তা জানা সম্ভব না। ইভ্যালির মালিক টাকা পাচার করে থাকতে পারেন বলেও আভাস দেন পরিচালনা পর্ষদ। পর্ষদ প্রধান জানান, রাসেল দম্পতি প্রতি মাসেই দুবাই যেত। লকারের খামে টাকা ছিল বোঝা গেছে, যা এখন নেই। ব্যাংকে যত টাকা পেয়েছি, তাতে টাকা পাচারের বিষয়ে আন্দাজ পেয়েছি। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেন, গেটওয়েতে কত টাকা আছে, তা জানা নেই। তবে নগদ, বিকাশসহ পাঁচটি গেটওয়েতে ২৬ কোটি টাকা আছে। সেখান থেকে আদালতের আদেশক্রমে ক্রেতাদের কিছু পাওনা দেওয়া যেতে পারে। ইভ্যালির ২৪টি গাড়ির মালিকানার সন্ধান পাওয়া গেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

 

সর্বশেষ খবর