বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ

১৩ আসামিকে গ্রেফতারে দুদক ও পুলিশের পদক্ষেপ জানতে চান হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ১৩ আসামিকে গ্রেফতারে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাই কোর্ট। এ মামলায় গ্রেফতার দুই আসামির জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ করে গতকাল বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ২৬ জুনের মধ্যে এ তথ্য জানাতে বলেছেন আদালত। ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ঠিক করা হয়েছে।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌফিকুল ইসলাম মামুন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলায় মোট ১৭ আসামির মধ্যে চার আসামি কারাগারে আছেন। বাকি ১৩ আসামিকে গ্রেফতারে আদালতের একটি নির্দেশনা ছিল। সে আদেশটি বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে।

ভুয়া কার্যাদেশ ও অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এবি ব্যাংকের সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মসিউর রহমান চৌধুরী, শামীম আহমেদ চৌধুরীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ৮ জুন মামলা করে দুদক। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক মো. এরশাদ আলীকে। এ ছাড়া এবি ব্যাংকের সাবেক এমডি মসিউর রহমান চৌধুরী ও শামীম আহমেদ চৌধুরী, সাবেক ইভিপি ও শাখা ম্যানেজার এ বি এম আবদুস সাত্তার, এভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার আবদুর রহিম, এসভিপি ও সাবেক রিলেশনশিপ ম্যানেজার আনিসুর রহমান, ভিপি শহিদুল ইসলাম, এভিপি মো. রুহুল আমিন, ইভিপি এবং হেড অব সিআরএম ওয়াসিকা আফরোজী, ভিপি এবং সিএমআরের সদস্য মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এসইভিপি এবং হেড অব সিআরএম সালমা আক্তার, এভিপি ও সিআরএম সদস্য এমারত হোসেন ফকির, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম, এসভিপি ও সিআরএমের সদস্য শামীম এ মোরশেদ, ভিপি ও সিআরএমের সদস্য খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, এভিপি ও সিআরএমের সদস্য সিরাজুল ইসলাম এবং সাবেক ভিপি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য মাহফুজ-উল ইসলামকে আসামি করা হয়।

আসামিদের মধ্যে এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক মো. এরশাদ আলী, এবি ব্যাংকের এভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার আবদুর রহিম ও ভিপি শহিদুল ইসলাম এবং কাকরাইল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক এ বি এম আবদুস সাত্তার কারাগারে রয়েছেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে একে অন্যের সহায়তায় জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে জাল কার্যাদেশ প্রস্তুত করে ৬টি জাল কার্যাদেশের বিপরীতে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া এবি ব্যাংক কাকরাইল শাখার কর্মকর্তারা প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়া সাতটি অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে আরও ১০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে তা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। সব মিলিয়ে আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

সর্বশেষ খবর