ভোটকক্ষে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা রাখা নিয়ে নানা বিতর্ক চলছে। ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন মহল। গতকাল নির্বাচন কমিশন সিসি ক্যামেরার ব্যবহার নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যাও দিয়েছে। ইসি বলেছে, ভোটকক্ষে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা রাখার কারণে ভোটারের গোপনীয়তা ‘কোনোভাবেই নষ্ট হয়নি’। কমিশন জানিয়েছে, ভোট দেওয়ার সময় বুথে ভোটারের সঙ্গে অন্য কেউ প্রবেশ করল কি না শুধু সেটি ধরা পড়ে ক্যামেরায়, কিন্তু ভোটার কাকে ভোট দিচ্ছেন, সেটি দেখার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল কমিশনের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়। কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ভোটকক্ষের গোপন বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে কারও কারও বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। প্রচারিত বক্তব্য মতে, ভোটকক্ষের গোপন বুথে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে কে কাকে ভোট দিচ্ছে তা দেখা মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন। গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সেই কাজটি করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে। ‘এ ধরনের বক্তব্য মোটেও সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর।’
এদিকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে না দিয়ে নিজেদের অধীনে রাখার জন্য আবারও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলেছেন, এনআইডি অন্য সংস্থার হাতে গেলে নির্বাচনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। কেননা ইভিএমে ভোট গ্রহণে সব পর্যায়ে ভোটার তালিকা ডাটাবেজ ব্যবহার করা হয়। এজন্য ভোটার তালিকা ডাটাবেইজ এবং এনআইডি ডাটাবেইজ দ্বৈত ব্যবস্থাপনায় থাকলে ইভিএমে ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন এনআইডি নিয়ে ভোটার শনাক্ত করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। হুমকিতে পড়বে ইভিএমে ভোট গ্রহণ। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে এমন দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয় অ্যাসোসিয়েশন।