আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে বিদেশি রাষ্ট্রদূত যারা আছেন, তারা যে রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন, সেই রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন না। যদি মনে করেন তারা নিজেদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন, তারা কিন্তু তা করেন না। আমি বলব তারা যখন কথা বলেন, তার আগে তার দেশের অবস্থান, সেই রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের গভীরতার কথা বিবেচনা করবেন। ভিয়েনা কনভেনশনে এটাই লেখা আছে। জাতীয় মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গতকাল দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে, জনগণ যেভাবে চায়, আমরা সেভাবেই দেশ পরিচালনা করি। গত দু-তিন দিনে আমি যা দেখেছি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে, তাদের (বিদেশি রাষ্ট্রদূত) আচরণে আমি দুঃখিত হয়েছি। আমি আশা করব, এসব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যে বন্ধুত্বের গভীরতা, বিবেচনা করে সুচিন্তিতভাবে কথা বলবেন। সভা-সমাবেশ বিষয়ক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, রাস্তাঘাট বন্ধ করে সমাবেশ করা মানবাধিকার নয়। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি আইন আইনের গতিতেই চলবে, সেখানে কেউ হস্তক্ষেপ করে না এবং করবে না। তারেক রহমানের মামলা এবং দেশে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা প্রক্রিয়া শুরু করব। আপনারা দেখছেন আমাদের প্রতিবন্ধকতা কোথায়। যেসব দেশে তারা আছেন, তাদের রাষ্ট্রদূতরা আমাদের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলছেন, কিন্তু তাদের দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের আশ্রয় দিচ্ছেন, সেখান থেকে আনা কঠিন, আমরা চেষ্টা করছি। এর আগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব মো. মইনুল কবির।